মানবিক পুলিশ, ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন দাসের সহযোগীতায় সুনিশ্চিত ভবিষ্যত গড়লেন ৫৫ জন বেকার যুবক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মাথা যতই উচ্চতার শিখর স্পর্শ করুক না কেন, পা দুটি যেন মাটিতেই থাকে। তাহলেই বোধহয় প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়। ঠিক এমনই এক প্রকৃত মানুষের ছত্র ছায়ায় এসে নিজেদের জীবন পাল্টে ফেললেন প্রায় ৫৫জন বেকার যুবক।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ তালিকা নাম উঠে গেল তাদের। এই সমস্ত হতদরিদ্র যুবকদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যত এবং তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন কোচবিহার জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) চন্দন দাস।
শুক্রবার কোচবিহার জেলা ট্রাফিক দপ্তরে এই মহানুভব মানুষটিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছিলেন এই সমস্ত হবু পুলিশ কনস্টেবলরা।
কোচবিহার জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এই শিক্ষিত যুবকরা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পদে আবেদন করেন।
এরপর প্রিলিমিনারি টেস্ট, তারপর শারীরিক পরীক্ষা, এবং মেইন্স পরীক্ষার জন্য তারা বিবেচিত হন। এরপর তাদের পার্সোনালিটি টেস্ট বা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পড়ে। এরপর প্রত্যন্ত গ্রামের এই সব যুবকরা কার্যত নিজেদের আত্মপ্রত্যয় হারিয়ে ফেলতে থাকেন।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-village-of-sola-in-coochbihar-was-not-saddened-by-the-arrival-of-mother-durga/
এই সময় তাদের কাছে খোঁজ আসে যে, কোচবিহার জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) চন্দন দাস তাদের সাহায্য করতে পারেন। এরপর আর কালবিলম্ব না করে প্রায় ৭০থেকে ৮০জন ছুটে যান তাঁর কাছে।
কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার এর সঙ্গে কথা বলে তাদের মক টেস্ট নিতে শুরু করেন চন্দন বাবু। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ইন্টারভিউয়ের জন্য তাদেরকে পরিণত করে তুলতে দ্বিধাহীন ভাবে প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন তিনি। এরপর খুব ভালোভাবেই ইন্টারভিউ দেন এই সকল চাকরিপ্রার্থীরা।
অবশেষে এদের মধ্যে প্রায় ৫৫জন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগপত্র পান। এরজন্য ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন দাসকে নিজেদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে এদিন ছুটে আসেন এই যুবকরা। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক এর প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি তারা।
যুবকদের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত চন্দন দাস। তিনি বলেন, এই সাফল্য তার নয়, এই সাফল্য সংশ্লিষ্ট এই যুবকদের। যারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন তার নির্দেশ। এটি নিজের জীবনের এটি একটি বড় মাইলস্টোন বলে এদিন অভিহিত করেন কোচবিহার জেলা ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) চন্দন দাস।