“দলের কর্মীদের সঙ্গে আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না”- জিতেন্দ্রর বিজেপি যোগের জল্পনায় মন্তব্য বাবুলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারির পর দল ছাড়লেন আসানসোলের প্রাক্তন  পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোলের পুর প্রশাসক পদ ছাড়তেই পাণ্ডবেশ্বরে তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়।

আর এই কারণ দেখিয়েই প্রশাসকের পদ ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তৃণমূলের সদস্যপদ ত্যাগ করলেন ছাড়ার ঘোষণা করলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বৃহস্পতিবার প্রথমে পুরসভা কার্যালয়ে প্রশাসকের পদ ছাড়ার ঘোষণা করেন জিতেন্দ্র।

পাণ্ডবেশ্বরে নিজের বাড়িতে গিয়ে বলেন, প্রশাসক পদে ইস্তফা দেওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই আমার বিধায়ক কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাই তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হলাম। দলের সঙ্গে আমার আর কোনও সম্পর্ক নেই।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/arvind-kejriwal-tears-farm-law-copies/

এদিন সকাল থেকেই আসানসোলের রাজনীতির অন্দরে বহু উত্থান-পতন দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস সত্ত্বেও দুপুরে ফিরহাদ হাকিমকে দুষে পুরপ্রশাসকের পদ ছাড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

আর এই ঘটনাতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনীতির অন্দরে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে শনিবারের মঞ্চে অমিত শাহের সঙ্গে কী তাকেও দেখা যাবে?

যদিও প্রথমে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, বিজেপি দলটিকে তিনি পছন্দ করেন না। তাই সেখানে যোগদানের কোনো প্রশ্ন ওঠে না। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারীর এই মন্তব্য মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারীর দলত্য়াগের পর বিজেপিতে যোগদানের খবর কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। তখনই বাবুল সুপ্রিয়ো বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, “এতদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারীর নেতৃত্বে আসানসোলের বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমন করা হয়েছে। অনেক কষ্ট সহ্য করেছে ওরা। তাই উনি যদি বিজেপিতে আসেন সেটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হবে না।” তবে সবটাই শীর্ষনেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে বলেও এদিন মন্তব্য করেন তিনি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/three-ips-officer-changing-is-unconstitutional-said-mamata-banerjee/

বাবুল সুপ্রিয়র এই মন্তব্যের পরেই ঝড় উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “সাংসদ যা মন্তব্য করেছেন তা যুক্তিসঙ্গত। আমি তো সেই সব ঘটনার জন্য দোষ অন্য কাউকে দিতে পারিনা। তবে এখন দলের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই পুরোটাই বিবেচনাধীন।”

প্রসঙ্গত, আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন না জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তা তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।

আজ তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপি নয়, কলকাতার দলীয় নেতাদের নির্দেশেই এই কাজ হয়েছে। তাই দলে থাকার আর প্রয়োজন অনুভব করছি না। সেই কারণেই সব পদ থেকে এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।’

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/jitendra-tiwari-resign-form-all-post-from-triniomul/

বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরসভার কর্মীদের একটি সভায় প্রশাসকের পদ ছাড়ার ঘোষণা করেন জিতেন্দ্র। পদত্যাগের চিঠি পাঠিয়েছেন নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তখন থেকই তাঁর দল ছাড়ার জল্পনা তৈরি হয়।

উল্লেখ্য, সেই জন্মলগ্ন থেকে একইদিনে দুই হেভিওয়েটের দলত্যাগ করার কোনও নজির এখনও পর্যন্ত শাসকদলে ছিল না। সেদিক থেকে দেখলে এদিন রাজ্য রাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য দিন বটে। যা রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত নজিরিহীন ঘটনাই, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

সম্পর্কিত পোস্ট