“স্নেহে অন্ধ ছিলাম, গদ্দারি করেছে, বুঝতে পারিনি” আক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্নেহে অন্ধ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ গদ্দারি করবেন, সেটা আশা করেননি। তবে ধাক্কা সামলে নিয়েছেন তিনি। এবারের ভোটে তেমন আর কিছু প্রভাব পড়বে না।
পূর্ব মেদিনীপুরের জনসভা থেকে এ কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোট লাগা পা নিয়ে দুই মেদিনীপুর দুদিন ধরে ঘুরলেন। দুই দিনে মোট ছটি জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও দলত্যাগীদের আক্রমণ করেছেন তিনি।
বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারিনি। স্নেহে অন্ধ ছিলাম। গদ্দারি করেছে।” তিনি আরও বলেন, “এই দলত্যাগ তৃণমূলের উপর কোনওপ্রভাবই ফেলতে পারবে না।”
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর এগরা ও তমলুকে জনসভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর নাম মুখে নেননি তিনি। তবে গদ্দার বলে আক্রমণ করেছেন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায়। কোনওভাবেই তিনি এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না, একথা পরিষ্কার। শুধু তাই নয়, জানানো হয়েছে দল সামলে নিয়েছে। ভোটে আর কোনও প্রভাব পড়বে না।
বিজেপির পুরনো লোকরা ঘরে বসে কাঁদছে, কটাক্ষ মমতার
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে এক ঝাঁক বিধায়ক বিজেপিতে জয়েন করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই যোগদান পর্ব চলেছে গত তিন মাস ধরে। মেদিনীপুরের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন শীলভদ্র দত্ত।
পরবর্তীকালে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বৈশালী ডালমিয়া সহ অন্যান্যরা যোগদান করেন। পরবর্তীকালে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জটু লাহিড়ী, সোনালি গুহ সহ অন্যান্যরা।
রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্যা সামলে নিয়েছেন। এবার আর দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। একথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।