“দলত্যাগবিরোধী আইন বাংলায় কার্যকর করবই”- মুকুলের দলত্যাগ প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারী শুভেন্দুর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুকুল রায় দলে ফিরে আসার পর শুক্রবার গোটা দিনটায় কোন শব্দ উচ্চারণ করতে দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীকে। শনিবার ঘাটালে ভারতীয় জনতা পার্টির এক সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে শুভেন্দু হুংকার দেন রাজ্যে দল ত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বিরোধী দলনেতা হিসেবে যত সময় লাগে লাগুক। কিন্তু সেই আইন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করবই। তারপর আইন মেনে দলত্যাগ করতে হবে নেতাদের।” রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলবেন তিনি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে সুর জড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন “আইন ভাঙা বাংলায় নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসের বিধায়ক তৃণমূলে, আবার কখনো সিপিএমের বিধায়ক তৃণমূলে। আবার কখনো বিজেপির বিধায়ক তৃণমূলে। কেউই দল বিরোধী আইন মেনে ত্যাগ করছেন না। মাননীয়া এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার বিধানসভা আইনের ঊর্ধ্বে নন সেটা তাঁদের বুঝতে হবে। এদিনও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তোপ দাগতে ছাড়লেন না তিনি।
শহরতলীতে লোকাল ট্রেন চালানোর আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি পূর্ব রেলের
পাল্টা তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে বলা হয়েছে উনি দল বিরোধী আইনের কথা বলছেন তাহলে সেক্ষেত্রে সেই আইন সবার আগে কার্যকর করা উচিত ওনার নিজের ঘরে। তৃণমূলের সাংসদরা যেমন শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল দলত্যাগ আইন মেনে দলবদল করেছেন কি? সে প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন তারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কেউ কোন দল থেকে নির্বাচিত হয়ে এলে পরে তিনি যদি দল ত্যাগ করেন তাহলে তাকে পুরনো দলের সংশ্লিষ্ট পদ ছাড়তে হয়। না হলে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। মুকুল রায় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি যখন তৃণমূলে ফিরে এসেছেন তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে আসেননি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুল রায় কৃষ্ণনগর উত্তরে বিধায়ক পদ থেকে কিছুদিনের মধ্যেই ইস্তফা দিয়ে দেবেন। উপনির্বাচনে ওই আসনে দাঁড়াতে পারে পুত্র শুভ্রাংশু রায়।