রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হলে আরও উন্নয়ন হবে: জয়া বচ্চন
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: মাথা ফেটেছে, পা ভেঙে দিয়েছে, কিন্তু মন ভাঙতে পারেনি দিদির। উনি একমাত্র মহিলা যিনি দেশের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তার লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াতে এসেছি।’ কলকাতায় তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে সোমবার একথাই জানালেন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভায় সাংসদ তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চন।
তৃণমূলের হয়ে প্রচারের জন্য রাজ্যে রবিবারই এসেছেন তিনি ৷ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি রাজ্যে তৃণমূলকে সমর্থন করছে ৷ এর আগে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এবার এলেন অমিতাভ-ঘরণী জয়া বচ্চন ৷ এ দিন তৃণমূলের তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ৷ আগামী তিনদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের হয়ে প্রচারে করবেন তিনি ৷
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জয়া বচ্চন বলেন, ‘‘বাঙালীরা সবসময় মনের কথা শুনেছে ৷ বাঙালীদের ভয় দেখিয়ে কেউ কিছু করতে পারেনি ৷ আজও পারবে না ৷ একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মমতা ৷ এখানে আমি অভিনয় করতে আসেনি ৷ মমতার লড়াইকে সম্মান করি ৷ আরও বেশি বেশি উন্নতি হবে যদি মমতা ফের মুখ্যমন্ত্রী হন ’’৷
তিনি আরও বলেন,এখানে যখন আসি আমার বন্ধুরা অনেক কথা বলতে বলেছিল। কিন্তু আমি ভাবলাম কি বলব? আমি শুধু একটাই কথা বলব, আমার ধর্মকে আমার থেকে কেড়ে নেবেন না। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেবেন না। আর এই জন্যই মমতাদির পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। কারণ উনি একমাত্র মহিলা, যিনি গোটা দেশের সমস্ত মানুষদের গণতান্ত্রিক অধিকার বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছেন। কলকাতা হল মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান।’
রাজনৈতিক মহলে ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী শক্তির মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন কিন্তু বিজেপি নেতাদের আক্রমন করতে গিয়ে ‘ বহিরাগত ‘ তত্ব দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের বাইরের নেতারা সরাসরি তৃণমূলের হয়ে আসরে নামতে পারছেন না।
তাই অখিলেশ যাদব তাঁর দলের সাংসদকে রাজ্যে পাঠিয়েছেন। জয়া বচ্চন বাংলার মেয়ে হওয়ায় বিজেপির কাছে আক্রমনের কোনও হাতিয়ার থাকবে না। আবার মুম্বইয়ের খ্যাতনামা শিল্পী ও রুপোলি পর্দার দাপুটে অভিনেত্রী হওয়ায় গ্ল্যামার যোগ রয়েছে তাই তৃণমূলের বাড়তি লাভ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।