ওভারলোডিং না রুখলে রাস্তার বেহাল ছবি বারবার ফিরবেই, মত বিশেষজ্ঞদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাঙালির প্রধান উৎনসব দুর্গাপুজোর মুখে রাজ্যে রাস্তার অবস্থা বেহাল। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎ্পরতায় রাস্তাঘাটের হাল ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে রাস্তা তৈরির পর সেই রাস্তা মেয়াদ বেশিদিন থাকছে না। কয়েকমাস যেতে না যেতেই খানাখন্দে ভড়ে গিয়ে তার অবস্থা বেহাল হচ্ছে।
আর সে কারণেই রাজ্য সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাস্তা বানালে, ঠিকাদার সংস্থাকে তার দায় নিতে হবে তিন বছর।
রাস্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খোলা খুলিই বারবার বলেছেন, যিনি রাস্তা তৈরি করবেন, তাকে তিন বছর রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। আধিকারিকরা মনে করছেন, এর ফলে সমস্যা অনেকটাই কমবে।কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওভারলোডিং না রোখা গেলে রাস্তার বেহাল অবস্থার পুনরাবৃত্তি হবেই।
এর আগেও, বিভিন্ন রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা খারাপের জন্যে দায়ি করছেন ওভারলোডিংকে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মোড় এই ওভারলোডিংয়ের জেরে যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে রাজ্যের পূর্ত দফতরের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
ওভারলোডিং বন্ধ করে যাতে দ্রুত রাস্তার হাল ফেরানো যায় তা দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, রাস্তা খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ ওভারলোডেড গাড়ির চাপ।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করছেন, তারা একাধিকবার এই ওভারলোডিং নিয়ে সরব হয়েছেন। পুলিশ ও মোটর ভেহিক্যালস বিভাগকে জানিয়েছেন, যদিও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে রাস্তা যথাযথ ভাবে রাখা একটা মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে তাদের কাছে।
ওভারলোডিং করছে লরি, এই অভিযোগ বহুদিনের। ওভারলোডিং যে তারা করছে সেই অভিযোগ মেনে নিচ্ছেন ট্রাক মালিকরা। তাদের বক্তব্য, ক্রমশ জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধি ও পুলিশি জুলুমের কারণেই তাদের ওভারলোড লরি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
তার জন্যে যে রাস্তা খারাপ হচ্ছে সেটাও মেনে নিচ্ছেন তারা। কোন গাড়ি কত টনের পণ্য নিতে পারবে তা মোটর ভেহিক্যালস বিভাগের নিয়মে বলা আছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bihar-election-2020-the-alliance-is-breaking-down-the-opposition-is-thinking-before-the-election/
নিয়মানুযায়ী ৬ চাকার লরি ৯ টনের মাল বহন করতে পারবে। ১০ চাকার লরি ১৬ টনের মাল বহন করতে পারবে। ১২ চাকার লরি ২১ টন মাল বহন করতে পারবে। ১৪ চাকার লরি ২৫-৩০ টন মাল বহন করতে পারবে। যদিও এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করছেন তারা। এমনটাই জানাচ্ছেন ট্রাক মালিকরা।
দীর্ঘ দিন ধরে ট্রাক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নওল শর্মা জানাচ্ছেন, হ্যাঁ ওভারলোডেড ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে। কারণ একটা পণ্য নিয়ে আসতে গেলে রাস্তায় একাধিকবার আমাদের পুলিশি জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে। নিয়ম মেনে গাড়ি চালিয়েও আমাদের হেনস্থা করছে। তাই বাধ্য হয়েই ট্রাক ওভারলোড হচ্ছে।
ওভারলোড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছে ট্রাক মালিকদের সংগঠন। তাদের সভাপতি সুভাষ বোস জানাচ্ছেন, ওভারলোড ও পুলিশি জুলুম নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন মহলে আমরা চিঠি দিয়ে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। পুলিশকে বললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। শুধু বলে ওপরতলার নির্দেশ আছে।
একদিকে রাস্তা খারাপ, অন্যদিকে পুলিশি জুলুম। এই দুইয়ের কারণে চরম সমস্যায় পড়েছেন ট্রাক মালিকরা।