করোনা উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্য সৈনিকের ভূমিকা পালন করলেন কারা?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা ত্রাসে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। আক্রান্তের নিরিখে ভারত এখন চতুর্থ স্থানে। পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিদিনই করোনার চোখ রাঙানি বাড়ছে। এই মুহুর্তে চলছে আনলক ওয়ান। অর্থাৎ কন্টেন্টমেন্ট জোনগুলি ছাড়া অন্যান্য জায়গাগুলিতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিষেবা দেওয়া।
সেক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে। আজ ও আগামীকাল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এহেন সঙ্কটময় পরিস্থিতির মধ্যেও অব্যাহত শাসক বিরোধী তরজা। বিজেপি এবং বামেদের একযোগে অভিযোগ করোনা পরিস্থিতিতে তাদের ত্রাণ বন্টনে বাধা দিয়েছে শাসকদল। তর্কের খাতিরে না হয় সেকথাতেই শিলমোহর দেওয়া গেল।
বঙ্গ রাজনীতিতে সৌজন্যতার নয়া নজির গড়লেন দিলীপ-রাজীব
কিন্তু খোদ শাসকদলের অন্দরেই এবার করোনা মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
দলের একাংশের প্রশ্ন যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা উপেক্ষা করে পথে নেমে কাজ করেছেন, সেই একই দায়িত্ব কতজন হেভিওয়েট নেতা পালন করেছেন?
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাকে কুর্নিশ।
তবে তাঁর যোগ্য সৈনিক হিসাবে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ আরও অনেকের দেখা মিললেও জেলার বিভিন্ন দিকে দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশী সময় দেখা গেল না অনেককেই।
তবে প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরিবহন ও সেচ দফতরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতমধ্যেই রাজ্যে ভোট বাদ্যি বাজিয়ে দিয়েছে অমিত শাহের ভার্চুয়াল জনসভা। বিজেপির প্রতিনিধিরা যখন ২১ এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চষে বেড়াতে শুরু করেছেন তখন টিকিও মিলছে না শাসকদলের বেশ কিছু মন্ত্রী বিধায়কদের।
পাখির চোখ ২০২১ঃ রাজীবেই ভরসা মমতার, সাংগঠনিক স্তরে বাড়ছে দায়িত্ব
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ২১ এর নির্বাচনে এক চিলতে জমি ছাড়তে নারাজ তিনি। দলের উঁচুতলা থেকে নীচুতলার কর্মীরা প্রত্যেকেই যেন স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করেন।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন, শাসকদলের যেসব নেতা মন্ত্রীরা করোনার ভয়ে পর্দার ছিলেন তারা যথার্থই জনপ্রতিনিধির ভূমিকা পালন করলেন তো? কীসের ভিত্তিতে আগামী দিনে সাধারণ মানুষ তাদের ভোট দেবেন?