ভবানীপুরে শেষ মুহুর্তের প্রচারে TMC-BJP সংঘর্ষ, দিলীপ ঘোষের সামনেই মাথা ফাটল BJP কর্মীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভবানীপুরে শেষ মুহুর্তের প্রচারে চরম উত্তেজনা। বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাড়ি বাড়ি ভোটের স্লিপ বিলি করতে গেলে, তাঁকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। এদিন তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় যদুবাবুর বাজার এলাকায়।

দফায় দফায় উত্তেজনায় মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। আহত হলেন বেশ কয়েকজন। বাধা পেয়ে পুলিশ নিরাপত্তায় সভা ছাড়তে হল দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংদের।

বিজেপির অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের সামনেই চারজনকে মারা হয়েছে। মমতার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য শুনব না। এমনই দাবি করে আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দেওয়া হয় জয় বাংলা স্লোগান। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা।

দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। শেষপর্যন্ত আহত কর্মীকে নিয়ে গাড়িতে করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন।

মমতার জয় নিশ্চিত করুন, ফুলবদলের জল্পনা জিইয়ে কুনালকে পাল্টা জবাব লকেটের

বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিলীপবাবু যখন প্রচারে গিয়েছেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। ওরা জয় বাংলা স্লোগান দিক না, আমরা খোল-কর্তাল বাজিয়ে দেব। কিন্তু বিরোধী নেতা বলে এমন আক্রমণ! এটা কেমন সংস্কৃতি! মমতাকে ঘিরে কেউ জয় শ্রীরাম বলেন? অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গে দেখা হলে জয় শ্রীরাম বলি আমরা? ভবানীপুরে গুন্ডা, তালিবানি গুন্ডা নামিয়েছে তৃণমূল। হয়ত বাংলাদেশ থেকেও আসতে পারে। এতে যাতে ভয় পেয়ে মানুষ ভোট না দিতে যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আফগানিস্তান এর চেয়ে ভাল অবস্থায়।”

প্রসঙ্গত, এদিনের ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে দেখা যায়নি কোনো সেন্ট্রাল ফোর্সকে। দেখা যায়নি স্থানীয় পুলিশকে। এমনই অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

সম্পর্কিত পোস্ট