করোনা আবহে রমজানে যত্রতত্ৰ থুতু না ফেলার অনুরোধ ইমামদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগামী শনিবার থেকে শুরু হতে চলেছে রমজান মাস। সে সময়ে কঠোর ভাবে রোজা রাখতে গিয়ে অনেকেই থুতুও গিলতে চান না। কিন্তু করোনা-যুগে সংক্রমণের ভয় এবং স্বাস্থ্য-বিধির কথা মাথায় রেখেই যেখানে সেখানে থুতু না ফেলার অনুরোধ করেছেন রাজ্যের ইমামরা।
সেই সঙ্গে মসজিদ কমিটির হাতে দান(জাকাত) তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। সে সময়ে কঠোর ভাবে রোজা রাখতে গিয়ে অনেকেই থুতুও গিলতে চান না। তাঁরা মনে করেন এতে রোজা ভঙ্গ হতে পারে।
কিন্তু খোদ মুসলিম ধর্মগুরুরাই মনে করছেন এটা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। যেখানে-সেখানে থুতু ফেলায় পরিবেশে দূষণ বাড়ে।
নাখোদা মসজিদের ইমাম সফিক কাশেমির কথায়, ‘‘অনেকেই ভাবেন, থুতু গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে। যার জন্য রোজা রাখা অবস্থায় তাঁরা যেখানে সেখানে থুতু ফেলে থাকেন। এটা বড় কুসংস্কার তো বটেই। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণেরও অন্যতম কারণ।
কাজ নেই, ২৬ কোটিরও বেশি মানুষ হয়ত খেতে পাবেন না এরপর, উদ্বেগ বাড়াল রাষ্ট্রপুঞ্জ
বর্তমানে করোনাভাইরাস ঠেকাতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে থুতু ফেলা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সাধারণ মুসলমানদের কাছে আমার আবেদন, রোজা রেখে যত্রতত্র থুতু ফেলবেন না।’’
রেড রোডের ইদের নমাজের ইমাম ফজলুর রহমানও বলছেন, ‘‘থুতু গিলে ফেললেও রোজা কখনওই ভাঙে না। তাই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বিষয়ে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’’
রমজান মাসে বহু মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ তাঁদের আয়ের একটা অংশ দুঃস্থ মানুষদের দিয়ে থাকেন। সন্ধ্যায় মসজিদে ইফতারের খাবারও বিলি করেন।
বঙ্গীয় ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, ‘‘অন্যান্য বছরে যাঁরা মসজিদে ইফতারের পাশাপাশি দুঃস্থদের জন্য দান (জাকাত) করতেন, তাঁদের কাছে আমরা আর্জি জানাচ্ছি যাতে তাঁরা সেই টাকা এ বছর মসজিদ কমিটির হাতে তুলে দেন।