“রাজ্যের জেলখানাগুলোর উন্নয়ন করুন, তিন মাস পর ভাইপোকে নিয়ে থাকতে হবে”- শতরূপ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুয়ারে সরকার প্রকল্প না করে পশ্চিমবঙ্গের জেল গুলোর উন্নয়ন করুন। কারণ আগামী তিন মাস পর মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপোকে জেলে থাকতে হবে। বারাসাতে এসে তৃণমূলকে নিশানা করে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিপিআইএমের ছাত্রনেতা শতরূপ ঘোষ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শতরূপ বলেন, “সরকারের যমের দুয়ারে যাওয়ার সময় এসে গেছে। মরণকালে হরির নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি হাতে তিন মাস সময় আছে। সব প্রকল্প ছেড়ে একটাই প্রকল্প নিন। পশ্চিমবাংলার জেলখানাগুলোর উন্নয়ন করুন। কারণ তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পর আপনাকে ও ভাইপোকে ওখানেই থাকতে হবে।”
শতরূপের কথায়, “মানুষের চিকিৎসা পাওয়াটা মানুষের অধিকার। কোভিড পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা দরকার। এগুলো সব মানুষের অধিকার। সরকারি দয়া নয়। এগুলো মানুষের বহু আগেই পাওয়ার দরকার ছিল। ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগুলো ঘোষণা করেছেন। এখনো দেননি।”
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-government-stood-by-the-families-of-those-killed-in-the-political-violence/
তিনি আরও বলেন, “কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পশ্চিমবাংলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনা পয়সায় মানুষের চিকিৎসা হয়। তাই যদি হয় তাহলে প্রাইভেট নার্সিং হোমের বিল মেটানোর জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কেন আনতে হচ্ছে? তাহলে স্বীকার করুন সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় মানুষের চিকিৎসা হয় না। মাঝখান দিয়ে সরকারি টাকাগুলো প্রাইভেট নার্সিং হোমের মালিকদের দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করছেন।”
স্বাস্থ্য কার্ডের বিষয়ে শতরূপের প্রশ্ন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের লিমিট ৫ লক্ষ টাকা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো কত বিল চার্জ করতে পারে, তারা আপার লিমিট যদি না বেঁধে দেন তাহলে এর কি মূল্য আছে? তাহলে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর কি মূল্য?
প্রসঙ্গত, ২১ এর নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন প্রকল্প দুয়ারে সরকার নিয়ে শাসক দলকে একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি-বাম-কংগ্রেস। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।