অস্থায়ী টিকাকরণ শিবির আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গে বাঁধতে হবে গাঁটছড়া

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ভুয়ো টিকাকরণ পুনরাবৃত্তি রুখতে রাজ্য সরকার বেসরকারি অস্থায়ী টিকাকরণ শিবির আয়োজনের ক্ষেত্রে নতুন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এখন থেকে এধরনের টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করতে গেলে নির্ধারিত বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে করতে হবে। যেসব হাসপাতাল করোনা টিকাকরনের কাজ করছে তাদের মাধ্যমেই এ ধরনের শিবির আয়োজন করা যাবে।

টিকার ডোজ সরবরাহ থেকে শুরু করে টিকা প্রদান পর্যন্ত যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের উপরে ছাড়তে হবে। জাল টিকাকরণ কাণ্ডের প্রেক্ষিতে আজ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এখন যেকোন রকম অস্থায়ী টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করতে গেলে প্রশাসনের আগাম অনুমোদন বাধ্যতামূলক। এখন বণিকসভা সংগঠন বা সংস্থাকে এ ধরনের শিবির আয়োজন করার আবেদন জানাতে হলে সেখানে স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে কোন হাসপাতালের মাধ্যমে তারা এই শিবিরের আয়োজন করছেন। অনুমোদন মেলার পর সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা ওই শিবির পরিদর্শন করবেন। তাদের অনুমোদন মেলার পরেই টিকাকরণ এর কাজ শুরু করা যাবে।

৮ জুলাই বিধানসভায় পেশ করা হবে রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠন সংক্রান্ত বিল

উল্লেখ্য, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। এইসব প্রতারকরা সন্ত্রাসবাদীর থেকেও ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্নে সাংবাদিকদের বলেন এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছি। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে।

এই ধরনের ঘটনায় পুলিশ এবং পুরনিগমগুলি কোনভাবেই তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না বলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান। প্রশাসনের তরফে আরও নজরদারি প্রয়োজন ছিল বলে তিনি জানান। ওই শিবির থেকে যারা টিকা নিয়েছিলেন তাদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট