করোনা পরিস্থিতিতে সব কলেজে ভর্তির ফি অনলাইনে দেওয়া ব্যবস্থা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এতদিন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়ে গেলেও বহু ক্ষেত্রে ভর্তির টাকা জমা দিতে হত ব্যাংকে গিয়ে। কিন্তু এবার করােনা মহামারির জেরে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি।

করােনার জেরে ব্যাহত হচ্ছে ব্যাংকের কাজও। তা ছাড়া পড়ুয়া বা অভিভাবকরা ব্যাংকে গিয়ে টাকা দিতেও সমস্যায় পড়তে পারেন। সে জন্য অধিকাংশ কলেজই এ বছর থেকে টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটিও অনলাইনে করতে উদ্যোগী হয়েছে।

ফলে বাড়িতে ইন্টারনেট সংযােগ থাকলেই স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সাহায্যে গােটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে।

শহরের একটি কলেজের অধ্যক্ষ বলছেন, করােনা আবহে ভর্তির সময়ে পেমেন্ট সংক্রান্ত সব কিছু সম্পন্ন হবে বিলডেস্ক গেটওয়ে পদ্ধতিতে। ফলে পড়ুয়া-অভিভাবকরা বাড়ি বসেই ভর্তির যাবতীয় কাজ করতে পারবেন।

আরেকটি কলেজের অধ্যক্ষের কথায়, এতদিন একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় পেমেন্ট করতে হত। কিন্তু সেই ব্যাংকের সঙ্গে আগাম সমন্বয় করে পেমেন্ট পাের্টাল ওপেন করা হয়েছে। যাতে কাউকে এই অতিমারির সময় ব্যাংকের শাখায় যেতে না হয়।

তাঁর দাবি, কলেজে যে সব ফি দিতে হয়, সে-সবও বার্ষিকের বদলে ষান্মাসিক করে দিয়েছি। এমনকী টিউশন ফি আপাতত তিন মাসের দিলেই হবে।

মণীন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ বলছেন, আমরা পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতে যে কোনও রিফান্ডের বিষয়টাও অনলাইনে করার ব্যবস্থা করেছি। যাতে অকারণে কাউকে বাইরে বেরােতে না হয়। গত বছর আমাদের পেমেন্ট পদ্ধতি অনলাইনের পাশাপাশি ব্যাংকে চালান কেটে করা হয়েছিল। এবার গােটা পদ্ধতিই অনলাইনে করা হয়েছে।

করোনা পর্যোলোচনায় দশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর,বকেয়া সহ একগুচ্ছ দাবি মমতার

অন্য আরেকটি কলেজের অধ্যক্ষ জানালেন, ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় পেমেন্ট একেবারে অনলাইন সিস্টেমেই দেওয়া নেওয়া করা হবে। একই পদ্ধতি মানা হচ্ছে নিউ আলিপুর কলেজে।

জয়পুরিয়া কলেজ আবার এই অবস্থায় আবেদন ফি-তে কিছুটা ছাড়ের ব্যবস্থাও করেছে। সােমবার থেকে কলেজে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেও শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশকে হাতিয়ার করে বেশ কিছুকলেজে নিয়মিত হাজিরার রুটিন তৈরি করায় গােল বেধেছে।

ট্রেন না চলায় দূর থেকে তাঁরা আসবেন কী করে? তা ছাড়া অনেক কলেজ কনটেনমেন্ট জোনে। ফলে বিতর্ক মাথা চাড়া দিচ্ছে। অনেক কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়ায় পড়ুয়াদের যে কোনও অসুবিধায় সহায়তা করতে হেল্পলাইন খুলছে।

সেই সঙ্গে সব কিছুতে নজরদারির জন্য কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আসতেই হচ্ছে। যদিও শহরের একাধিক কলেজের অধ্যক্ষেরই আবার এ ব্যাপারে প্রবল আপত্তি।

তাদের একাংশের মত, প্রয়ােজনে ভর্তি কমিটির লােকজন পালা। করে আসতে পারেন। সবই যদি অনলাইনে হয় তা হলে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসবেন কেন ? মেধাতালিকা বেরােনাের আগে হয়তাে

একবার আবেদনকারীদের সব কিছু মিলিয়ে দেখার জন্য বিভাগীয় প্রধানদের আসতে হতে পারে। একই কথা বলছেন আরও একটি কলেজের অধ্যক্ষও। তাঁর মতে, আমাদের তিন তিনবার ভর্তি কমিটির বৈঠক হয়েছে অনলাইনেই। এখন কলেজের বাইরে থেকে সব কিছু

পরিচালনা করা হবে। ২৫ অগাস্ট চূড়ান্ত মেধাতালিকা বেরােনাের আগে মিলিয়ে দেখার জন্য কেবল বিভাগীয় প্রধানদের ডাকা হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট