দিদির প্রতিটি সভায় প্রকৃত অর্থেই জনসমাগম, মন্তব্য তৃণমূলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বুধবার, ১০ ফ্রেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ এবং মালদায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় রীতিমতো জনপ্লাবন দেখা গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মঙ্গলবার,৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং মুর্শিদাবাদের বহরমপুরেও একইভাবে বিপুল জনসমুদ্র দেখা গিয়েছিল।

এদিন রায়গঞ্জ এবং মালদার ছবি স্পষ্টতই বলে দিচ্ছে বিজেপির উত্তরবঙ্গে এগিয়ে থাকার দাবি একেবারেই অতীত। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে যা ফল হয়েছিল, তা যে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে হবে না, এই বিপুল জনসমুদ্রই তার প্রমাণ। শুধু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় জনপ্লাবন হচ্ছে এমনটা নয়, এর পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা যে জনসভাগুলি করছেন, সেখানেও জনসমুদ্র।

পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, দক্ষিণ দিনাজপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবকটি সভায় গড়ে ৮০,০০০- ১,০০,০০০ লোক এসেছেন। অন্যান্য বরিষ্ঠ নেতৃত্ব যেমন লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদারের জনসভাতেও ব্যাপক জমায়েত হচ্ছে।

বিজেপির সভায় ভিড়ে ভাটা, চিন্তায় গেরুয়া শিবির

একদিকে যেমন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সভায় জমায়েত ক্রমশ কমছে,অন্যদিকে বিজেপির বাংলার সমাজ, সংস্কৃতিকে নষ্ট করার হাত থেকে রক্ষা করায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে।

যে বীরভূম জেলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি, সেই বীরভূমের পবিত্র তীর্থ ক্ষেত্র তারাপীঠে যখন ৯ই ফেব্রুয়ারি জেপি নাড্ডার সভা চলছিল তখন মানুষ সভাস্থল থেকে চলে যেতে থাকেন। প্রায় জনশূন্য সভা মঞ্চের ছবি এটাই প্রমাণ করে যে বিজেপির সোনার বাংলার স্বপ্নে বাংলার মানুষ ভুলছে না।

একই দিনে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম সভা মঞ্চে জেপি নাড্ডা উঠতেই রাজি হননি কারণ মাঠ ছিল প্রায় জনশূন্য। যতই বিজেপি গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করুক, বিজেপির এই ফাঁকা মাঠে সভা করে লোক হাসানো এখন বাংলায় নিত্যদিনের ঘটনা। এর আগেও পার্টির একঝাঁক তারকা মুখ থাকা সত্ত্বেও বিজেপির হাওড়া জেলার ডুমুরজলার জনসভা একইরকম প্রায় জনশূ্ন্য হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট