জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে দেশে দৈনিক টিকাকরণ হবে এক কোটিঃ আইসিএমআর প্রধান
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশজুড়ে কোভিড সংক্রমণের মধ্যে দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিনের সংকট। একাধিক রাজ্যের তরফে এই অভিযোগ আসছে বারবার। এর মাঝেই বড় ঘোষণা আইসিএমআরের প্রধান ডঃ বলরাম ভারগভের। জুলাই থেকে ভ্যাকসিনের চাহিদা পুরণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার আইসিএমআর প্রধান বলেন, জুলাই মাঝামাঝি থেকে অগাস্টের প্রথমে ভ্যাকসিনের চাহিদা পুরণ হবে৷ এই বছরের শেষে দেশের ১০৮ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডঃ ভর্গব বলেন, ভারতের মতো বিপুল সংখ্যক জনবহুল দেশে ভ্যাকসিনের চাহিদা পুরণ করতে সময় লাগবে। তার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। চাহিদা পুরণের ক্ষেত্রে পুরাতন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি যেমন প্রস্তুতি জারি রেখেছে, ঠিক তেমনিই নতুন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি পা বাড়িয়েছে।
শুধুমাত্র কনটেইনমেন্ট জোন এবং বিপুল সংখ্যক টেস্টিং করে করোনার হাত থেকে মুক্তির রাস্তা হতে পারে না। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়তে পারে৷
আইসিএমআর প্রধানের বক্তব্য, দেশে ভ্যাকসিনের কোনও অভাব নেই। আমাদের জনসংখ্যা আমেরিকার তুলনায় কয়েকগুণ বেশী। ভারতে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে ধৈর্য রাখতে হবে। আশা করা হচ্ছে জুলাই মাঝামাঝি থেকে অগাস্টের প্রথমের দিকে এই সমস্যা দূর হবে। প্রতিদিন ১ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পাবে। বছরের শেষে সারা দেশ ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত মাসেই কেরল হাইকোর্টকে কেন্দ্র জানায় প্রতিদিন দেশে ২৮.৩৩ লক্ষ ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। মাসে যা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি। সারা দেশে এখনও অবধি টিকা পেয়েছেন ২৩ কোটি মানুষ। দেড় কোটি এখনও অবধি ভ্যাকসিনের জোগান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ডের মাঝে স্পুটনিক ভি চাহিদা মেটাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে খুব শীঘ্রই ভারতে চালু হতে পারে ফাইজার এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
এর মাঝেই একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দিয়েছে। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তর পুর্ব ভারতে মিলছে ভ্যাকসিনের সংকট। ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।