লকডাউনে তরুণ মন মজেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরীতে
রাহুল গুপ্ত
লক ডাউনে সব চুপ , শান্ত। পরিচিত জায়গা অচেনা রূপ নিয়েছে। কিছু কিছু জায়গা যেন মৃত্যু পুরীতে পরিণত হয়েছে।
একদল তরুণ তুর্কি যাদের চোখে হাজারো স্বপ্ন আগামী দিনে ছায়াছবি তৈরী করার তারা এবার ঘরে বসেই মজেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরী করাতে। কেউ বা নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন গেমিং চ্যানেল তৈরি করার কাজে।
পড়ুয়াদের অনেকে নিজেদের রান্না নিজেরাই করে নিচ্ছেন। তাঁদের উপলব্ধি, এই ক’দিনে বদলে গিয়েছে সব কিছু। কী করে আরও ভালভাবে বাঁচা যায়, রোজ তার খোঁজ করছেন তাঁরা। বুঝতে পেরেছেন নিজেদের পছন্দের কাজেই রয়েছে প্রতিদিনের বাঁচার অক্সিজেন।
লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের অনেক পড়ুয়া ফিরে গিয়েছেন নিজেদের বাড়িতে। যাঁরা যেতে পারেন নি তারা মনদিয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরীতে।
লকডাউনের জেরে আটকে গিয়েছেন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট –এর একদল পড়ুয়া।
এখন পঠনপাঠন বন্ধ। বাইরের কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু একজন সবজি বিক্রেতাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আর কোনও জিনিস কিনতে হলে দু–একজন পড়ুয়া স্থানীয় বাজার থেকে তা কিনে আনছেন। কার কোন জিনিস লাগবে, তার তালিকা তৈরি করে, টাকা নিয়ে যাচ্ছেন বাজারে।
বাইপাসের ধারে পঞ্চসায়রে বড়সড় ক্যাম্পাস। রয়েছে জলাশয়, অজস্র গাছ। এটা বেশ স্বস্তির, জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা। পাখির ডাক , চারিদিকে গাছ সেই দেখেই যেন সময় কাটানো। নিজেদের রান্না নিজেরা করতে গিয়ে ভিডিও বানানো লাগছে বেশ ভালো।
করোনা আবহে প্রশ্নের মুখে ভবিষ্যৎ, উত্তর আছে তো সরকার বাহাদুর?
আরও একজন মগ্ন গেমিং চ্যানেল তৈরির কাজে। মোবাইল গেম, কম্পিউটার গেমের বিষয়ে তার দারুন ইন্টারেস্ট। পরিকল্পনা রয়েছে ইউটিউবে সিনেমা সমালোচনার চ্যানেল খোলার।
পড়ুয়াদের অনেকে ছবি তোলার কাজে মন দিয়েছেন। তাঁদের কথায়, ক্যাম্পাসের চেনা ছবিটা বদলে গিয়েছে। সেই বদলই ধরা থাকছে ক্যামেরায়।
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা জানাচ্ছেন , ‘এই কঠিন সময়ে মনকে সতেজ, প্রাণবন্ত রাখতে হবে। এটাই এখন আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্যে।
আমরা সেই চেষ্টাই করছি। পড়ুয়াদের সবরকমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ক্লাস বন্ধ থাকলেও তাদের বিভিন্ন রকম অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছি। মোবাইলেই সে কাজ সেরে নেওয়া যাবে। এর ফলে লেখাপড়ার চর্চাটা বন্ধ হবে না।’