সময়ের আগেই মহারাষ্ট্রে হয়তো ভোট, ঘর গোছানোর পাশাপাশি সম্ভাব্য সমীকরণ নিয়ে জল্পনা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার স্পিকার নির্বাচন ইঙ্গিত দিয়েছে সোমবার আস্থা ভোটে বিশেষ সমস্যায় পড়তে হবে না মহারাষ্ট্রের সদ্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া একনাথ শিন্ডেকে। তবে মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ারের ভবিষ্যৎবাণী, শিন্ডে সরকারকে বড়জোর ৬ মাস টিকিয়ে রাখবে বিজেপি। এর মধ্যে ঘর গুছিয়ে নিয়ে ভোটের জন্য বিধানসভা ভেঙে দেবে তারা। পাওয়ার তার নিজের দল এনসিপি বিধায়কদের ভোট প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রের খবর আগাম নির্বাচনের বিষয়টি আঁচ করে কংগ্রেসও ঘর গোছানো শুরু করেছে। কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাবে, সরকার পড়ে গিয়ে শাপে বর হয়েছে। আসলে মহারাষ্ট্রের অনেক হেভি ওয়েট কংগ্রেস নেতা মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন।
দলের অনেকেই হিন্দুত্ববাদী শিবসেনার সঙ্গে চলার তীব্র বিরোধী ছিলেন। তাঁদের মতে এতে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল। এমনিতে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস এই মুহূর্তে কোণঠাসা হলেও রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে তাদের সংগঠনের অস্তিত্ব আছে। যা শিবসেনা ও এনসিপির নেই, তারা নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সামলানো পীযুষ পাণ্ডের কাঁধে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার ভার
এই পরিস্থিতিতে অকাল ভোট হলে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সমীকরণ কী হবে তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস ও এনসিপি যে জোট বেঁধে আবার।ও লড়বে তা একরকম নিশ্চিত। কিন্তু উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার সঙ্গে তারা আদৌ জোট বাঁধবে কিনা সেটাই দেখার। শরদ পাওয়ারের এনসিপির কোনও সমস্যা নেই ঠাকরেদের নিয়ে।
ূপাকিন্তু কংগ্রেসের মুসলিম বিধায়কদের পাশাপাশি দলের প্রবীণ নেতাদের একাংশ আর শিবসেনার সঙ্গে জোট চায় না। কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদেরও একটা বড় অংশের ইচ্ছে তেমনই। এদিকে কংগ্রেস জোটে সামিল হতে না পারলে উদ্ধব ঠাকরের রাজনৈতিক ভবিষ্যত সম্পূর্ণভাবে সঙ্কটের মুখে পড়ে যাবে।
বিজেপি অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট বেঁধে যে ভোটে লড়বেন তা একরকম নিশ্চিত। তবে শিন্ডেদের ৬০ এর বেশি আসন বিজেপি ছাড়বে না। এছাড়াও রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা সহ ছোট কয়েকটি দলের সঙ্গেও তারা জোট বাঁধবে। সবমিলিয়ে শরিরকেদের ৮০ থেকে ৮৫ টি আসন ছেড়ে দিয়ে বিজেপি একাই অন্তত ১৬০ টির মতো আসনে লড়াই করতে চাইবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সঙ্কটের পড়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে মারাঠা রাজনীতির একাংশের ধারণা শিন্ডে মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়া শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের একটা অংশ আবার উদ্ধবের কাছে ফিরতে পারেন। এর পাশাপাশি উদ্ধব যদি দলীয় সংগঠনে নিজের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে পারেন তবে আগামী নির্বাচন যখনই হোক দ্রুত সেই ক্ষত সামলে উঠতে পারবেন বালাসাহেব পুত্র।