চতুর্থ দফায় কোটিপতি প্রার্থী ৬৫ জন, পয়লা নম্বরে জাভেদ খান
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রথম তিন দফার ভোটের ট্র্যাডিশন বজায় রেখে রাজ্যে চতুর্থ দফাতেও কোটিপতি প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় রাজ্যে যে ৪৪ আসনে ভোট হচ্ছে সেখানে ভাগ্যপরীক্ষায় নেমেছেন ৩৭৩ প্রার্থী। তার মধ্যে ৩৭২ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে ১৭ শতাংশই কোটিপতি।
অর্থাৎ চতুর্থ দফায় ভোট ময়দানে থাকা ৬৫ জন প্রার্থী কোটিপতি। আর চতুর্থ দফার ভোটের ময়দানে থাকা প্রার্থীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৯২ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।
শনিবার বেসরকারি নির্বাচনী নজরদার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভোটের আগেই সব প্রার্থীকে সম্পত্তির নিরিখে টেক্কা দিয়েছেন কসবার তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান।
গাড়ি-বাড়ি ও ব্যবসা মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩২ কোটি ৩৩ লক্ষ ১ হাজার ৯২৬ টাকা। পাঁচ বছর আগে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৬৯ টাকা। তবে সম্পত্তির নিরিখে সবাইকে টেক্কা দিলেও মাথায় বিপুল টাকার দেনা রয়েছে কসবার তৃণমূল প্রার্থীর। তাঁর দেনার পরিমাণ ৪১ কোটি ৫১ লক্ষ ১ হাজার ৪৯০ টাকা।
সম্পত্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন হাওড়ার শিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি।
West Bengal Election: যত খুশি মামলা করো, আমাদের জয় নিশ্চিতঃ মমতা
বিখ্যাত ক্রিকেটারের সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭০৩ টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শিবপুরের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। সম্প্রতি রাজনৈতিক ডিগবাজি খেয়ে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানো ‘দলবদলু’ নেতার সম্পত্তির পরিমাণ ১৬ কোটি ৫৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৯৬ টাকা।
বেহালা পূর্ব থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়তে নামা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় বাজারে দেনার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তাঁর দেনার পরিমাণ ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৫৩০ টাকা।
চতুর্থ দফায় যেখানে কোটিপতি প্রার্থীর ছড়াছড়ি সেখানে হাতে ৫০০ টাকা নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন ভাঙড়ের নির্দল প্রার্থী নৌশের আলি মোল্লা। তিনিই চতুর্থ দফায় সবচেয়ে গরিব প্রার্থী। যাদবপুরের নির্দল প্রার্থী মিস্টু দাসের সম্পত্তি বলতে মাত্র ৫০৫ টাকা। যাদবপুরের আর এক নির্দল প্রার্থী মেঘা চট্টোপাধ্যায় মাত্র ৫১৭ টাকার মালকিন।