মানুষের স্বার্থে শুরু ” অন্নপূর্ণা “, পথেই দেখা হবে বন্ধু বললেন অতনু প্রসাদ মিত্র

রাহুল গুপ্ত

মানুষের স্বার্থে মানুষের পাশে থেকে ১৬ই এপ্রিল থেকে শুরু হলো ” অন্নপূর্ণা “। রান্না করা খাবার পৌঁছে যাচ্ছে আপনার ঘরে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় , সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অতনু প্রসাদ মিত্রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ” অন্নপূর্ণা “. কলকাতা পুরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন অঞ্চলে এই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ঘরে ঘরে।

ছবিঃ নিজস্ব চিত্র

যারা করোনা গ্রাসে পরিস্থিতির স্বীকার, যাদের অবস্থা খুব দুর্বিসহ , যারা দিন আনে দিন খায় তারাই এই সুবিধার আওতায় পড়ছেন।

আরও পড়ুনঃ রেশন বন্টনে অনিয়ম, বদলি করা হল খাদ্য দফতরের সচিবকে

১৬ ই এপ্রিল পেয়ারাবাগান অঞ্চলের অন্তর্গত মূলত বস্তি এলাকায় এদিন দুপুরের খাবার পৌঁছে যায়। ওই এলাকায় প্রায় ৫টি ক্লাবে এদিন দুপুরের খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় ।

ছবিঃ নিজস্ব চিত্র

প্রত্যেক অঞ্চলের বাসিন্দারা নির্দিষ্ট গোল দাগে এসে দাঁড়িয়ে সেই খাবার নেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতির স্বীকার বাসিন্দারা লাইনে দাঁড়ায়।

এদিন ১ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায় দুপুরের খাবার। খাদ্য তালিকায় ছিল ভাত , ডাল ও আলু পটল সোয়াবিন দিয়ে তরকারি।

ছবিঃ নিজস্ব চিত্র

প্রত্যেক বাসিন্দাই উপকৃত হন দুপুরের খাবার পেয়ে। কোনো রাজনৈতিক রং দেখে নয় । একেবারে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলো এদিনের দুপুরের খাবার।

অতনু প্রসাদ মিত্র জানান ” করোনা গ্রাসে ওঁদের খাবারের যাতে অসুবিধা না হয় , তাই জন্যই চেষ্টা করে যাচ্ছি, গত ৫ই এপ্রিল থেকে দুবেলা করে খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী প্রদানের পর আমি মনে করেছিলাম সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি আমার পক্ষে। তারপর ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রান্না করা খাবার আমার সাধ্যমত পৌঁছে দেবো ওঁদের কাছে। ”

ছবিঃ নিজস্ব চিত্র

এদিন তিনি বলেন এই পরিকল্পনা সাংসদ অভিষেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই । তিনি আরও বলেন যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রাজ্যে আমরা অনেক নিরাপদ।

অতনুবাবু বলেন সবার উদ্দেশ্য ” সব রাজনীতি ভুলে আসুন পথে নামি। পথেই দেখা হবে বন্ধু “.

সম্পর্কিত পোস্ট