শাহের সফরের মাঝেই কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা ব্রাত্য বসুর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরের মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরিবর্তন যাত্রায় যোগ দিয়ে রাজ্য সরকারকে এক হাতে নিয়েছিলেন অমিত শাহ।
শুক্রবার তার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল ভবনে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন ব্রাত্য।শাহের নয়া শিক্ষানীতি চালুর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গুজরাত মূল বাজেটের ২ শতাংশ মাত্র বরাদ্দ করে শিক্ষাখাতে।
গুজরাতে অনেক শিক্ষক পেনশন পান না। সেখান থেকে লোক এসে রাজ্যের শিক্ষকদের নিয়ে কথা বলছেন।’ ব্রাত্য বসুর কথায়,’প্রদীপের নীচে অন্ধকারের সেরা উদাহরণ গুজরাত।’
তিনি এ দিন প্রশ্ন তোলেন, আপনারা মহিলাদের নিয়ে কথা বলেন, সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনেন না। বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও বলেন, বাজেটে বরাদ্দ লবডঙ্কা। বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও বিজ্ঞাপনে খরচ ৪০০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে রাজ্য সরকার মহিলাদের প্রকল্পে অঢেল অর্থ বরাদ্দ করেছে বলে জানান তিনি।আমাদের রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে সরাসরি সুবিধা পাচ্ছেন আমাদের রাজ্যের মা-বোনেরা। তিনি আরও বলেন, আয়ুষ্মান ভারতের ২ বছর আগে চালু স্বাস্থ্যসাথী। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৪০ শতাংশ টাকা দিতে হয় রাজ্যকে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ১০০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
পাশাপাশি তৃণমূল নেতার মন্তব্য, “কৃষকদের নিয়ে কথা বলছেন, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী এনেছেন আন্দোলন ভাঙতে। বাংলার কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সবাই সাহায্য পায়।কেন্দ্রের ফসল বীমা যোজনায় কৃষকদের বীমার প্রিমিয়াম দিতে হয়। অথচ রাজ্যের ক্ষেত্রে পুরো টাকাটাই দেয় রাজ্য সরকার।
এদিন ব্রাত্য বসুর বক্তব্যে বেকারত্ব, স্বাস্থ্য, পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে শুলে চড়ান। স্বাস্থ্যসাথীতে রাজ্য সরকার ১০০% মানুষকে সুবিধা দিচ্ছে, বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ তা ভাবে পরে। আর আয়ুষ্মান ভারতে রাজ্যের ৪০% মানুষ মাত্র সুবিধা পাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয় বাংলার বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলার নামে।
কৃষক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তৃণমূল নেতার মন্তব্য, ‘দিল্লি, হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে দেখা না করে, আপনারা রাজ্যের কৃষকদের নিয়ে কথা বলছেন?’ প্রশ্ন করেন তিনি। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জির তৈরি করা কৃষক বন্ধু প্রকল্প রাজ্যের সকল কৃষকদের জন্য সুবিধার্থে তৈরি। ‘জুয়াড়ি ধনতন্ত্র’-র প্রসঙ্গ টেনে ক্রিকেট নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।