অক্সফোর্ড ইউনিয়েননের বক্তৃতায় উন্নয়নের বাংলাকেই তুলে ধরবেন মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৭ সালের পর ফের দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ডিবেটিং সোসাইটি লন্ডনের ‘অক্সফোর্ড ইউনিয়ন’ থেকে বক্তৃতা দেওয়ার ডাক পেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মহামারীর কারণে এবার অক্সফোর্ড ইউনিয়নের অধিবেশন হবে ভার্চুয়ালি। আর তাতে আমন্ত্রিত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল ওই অধিবেশনের আমন্ত্রণ পত্র ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেও গিয়েছে এবং ওই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য সম্মতি জানিয়েছেন তিনি।২০১৭ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার অক্সফোর্ড ইউনিয়নে আমন্ত্রণ পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

২০১৭ সালেও অক্সফোর্ড ইউনিয়ন থেকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারও আগে ২০১০ সালে, যখন তিনি রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি তিনি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় ডিবেট সোশ্যাইটি এই অক্সফোর্ড ইউনিয়ন । ২০০ বছরের বেশি পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই সভায় বক্তব্য রেখেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রোগান ও রিচার্ড নিক্সন, তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, মাদার টেরিজার মতো তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা। সেখানে বক্তব্য রাখার জন্য দুবার ডাক পাওয়া তাঁর জন্য কম কৃতীত্বের নয়।

গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই পুলিশি এনকাউন্টারে খতম বিকাশ

মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অক্টফোর্ড ইউনিয়নের ডিবেটিং সোশ্যাইটির প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আপনার সঙ্গে আলোচনার জন্য আমরা অত্যন্ত উৎসুক হয়ে রয়েছি। এখন আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ। তাই আমাদের ঐতিহ্যবাহী ভাষণ পর্বের অনলাইন সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আপনাকে ফের আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে অক্সফোর্ড ইউনিয়নে বক্তৃতা দেওয়ার ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তাতে রাজ্যকে বিশ্বের দরজায় তুলে ধরেছেন তিনি। এবারও সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরবেন বাংলার উন্নয়নের কথা।

রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। যেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, সজুবসাথী, খাদ্যসাথী, যুবশ্রী, আমার বাড়ি, সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ, জলস্বপ্ন।সেগুলি কিভাবে বাংলার মানুষের জনজীবন বদলে দিয়েছে তাঁর গল্প শোনাবেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট