ভার্চুয়াল বৈঠকে শৃঙ্খলার শবক মমতার, সঙ্গে ভোকাল টনিকও

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দল বড় হলে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ে। বাড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শনিবার দলের সমস্ত জেলার জেলা সভাপতি, বিধায়ক, সংসদ, ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে দলীয় নেতাকর্মীদের শৃংখলার সবক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো দুর্নীতির সঙ্গে দল আপস করবে না। ত্রাণ দুর্নীতি, কয়লা-বালি-গরু পাচারের সঙ্গে কারো নাম জড়ালে দল তাকে রেওয়াত করা হবে না।
২০২০ সালে আমফানের পর ত্রাণ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের কোনও কোনও স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।একের পর এক অভিযোগ শুনে বিরক্তি প্রকাশও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিরোধী সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেস আমফানের ত্রাণ নিয়ে সরকারকে নানা ভাবে আক্রমণ করে। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনেও আমপান পরবর্তী ত্রাণের দুর্নীতি ছিল বিরোধীদের অন্যতম বড় ইস্যু।

কয়লা, বালি, গরু পাচার নিয়েও বিরোধী দলগুলো তৃণমূলকে বার বার নিশানা করেছে। এমন অভিযোগের শিকার যাতে না হতে হয়, দলের নেতামন্ত্রীদের সে দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।

অভিনেত্রী থেকে নেত্রী সায়নী, নজরকাড়া অভিষেক রাজনীতিতে

তৃণমূল সূত্রের খবর, এখন থেকে দল এবং প্রশাসনের কাজকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে চাইছেন মমতা। যাতে প্রশাসনিক বা সরকারের কাজে কোনওরকম অসুবিধা না করেই দলের সংগঠন বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়।

মূলত সেই লক্ষ্যেই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ম চালু করছে শাসকদল। রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে আর জেলা সভাপতি বা দলের অন্য কোনও সাংগঠনিক পদে রাখা হবে না। আবার দলের কোনও পদাধিকারিকে নিয়োগ করা হবে না প্রশাসনিক পদে। জেলাস্তর থেকে একেবারে ব্লকস্তর পর্যন্ত এই নিয়ম চালু থাকবে। এ

ই নতুন নিয়মের ফলে অন্তত চারটি জেলার জেলা সভাপতি বদল করতে হবে শাসক শিবিরকে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া গ্রামীণ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতিরা এই মুহূর্তে রাজ্যের মন্ত্রীপদে রয়েছেন। এদের সকলকেই যে কোনও একটি পদ ছাড়তে হবে।

ব্লকস্তরেও বহু রদবদল হবে। কারণ, একেবারে নিচের তলাতেও দেখা যায় একজন ব্যক্তিই একাধিক পদ দখল করে বসে আছেন। দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে যাবতীয় প্রয়োজনীয় রদবদলের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে।

দলের সাংগঠনিক বৈঠকে ফেসবুক লাইভ নিয়ে দলনেত্রীর কাছে একপ্রকার ধমক খেতে হল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে । তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদনকে সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘এভাবে সামাজিক মাধ্যমে যখন তখন সব কথা বলা যায় না।’ যদিও মিটিং শেষে মদনবাবু বললেন, দলনেত্রী তাঁকে ফেসবুক লাইভগুলি আরও সুন্দরভাবে করতে বলেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট