কোভিশিল্ডের দুটি টিকার মধ্যে ব্যবধানে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দাবী কেন্দ্রের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছিল কোভিশিল্ডের দু’টি টিকার মধ্যে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের ফারাক রাখা দরকার। এর পর অনেকেই বলতে শুরু করেন, ভ্যাকসিনের চাহিদা না মেটাতে পেরে তাই সময়সীমা বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র।

কিন্তু ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের চেয়ারম্যান ডঃ এন কে আরোরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের ঘাটতির জন্য নয় বরং বৈজ্ঞানিক কারণেই কোভিশিল্ডের দুটি টিকার মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি টিকার মধ্যে ব্যবধান বাড়ালে ফায়দা কি হবে তা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, যদি দুটি টিকার মধ্যে ব্যবধান এক মাসের বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে টিকার প্রদানের ব্যবধান ৪ থেকে ৬ কোটি দাঁড়াবে। তাহলে ভ্যাকসিনের ঘাটতি আরও বাড়ার কথা।
যদি কোভিশিল্ডের দুটি টিকার মধ্যে ৩ মাসের ব্যবধান রাখলে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ৬৫ থেকে ৮৮ শতাংশ বেশী বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার পরেই মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। কিন্তু তার প্রভাব কতটা পড়বে সেটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে চিকিৎসকদের অনুমান দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান বাড়ালে মানুষের শরীরে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে৷

কেন্দ্রের তরফে জারি করা হয় কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের ফারাক রাখা দরকার। পরে তা বাড়িয়ে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করা হয়। এরপর সেই ব্যবধান বাড়ানো হয় ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ অবধি।

ডঃ আরোরা আরও জানিয়েছেন, কোভিশিল্ডের ঘাটতি হবে না। তবে দুটি টিকার ব্যবধান বাড়ালে ফায়দা কি হতে পারে সেই তথ্য সরকারের কাছে এখনও অবধি নেই। তবে খুব শীঘ্রই এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সামনে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দুটি টিকা নেওয়ার পরেও যাদের মৃত্যু হয়েছে সেবিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট