অন্ধকারে জীবনদায়ক টিকা হাতড়াচ্ছে মানুষ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ভারত। দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার পার করছে নিত্যদিন। এমত অবস্থায় রোগ প্রতিরোধে ঢাল হতে পারে একমাত্র ভ্যাকসিন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় অনেক কম মিলছে টিকা৷ যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে।

আগের নাম লিখিয়ে ভোর বেলায় লাইনে হাজির। কেউ আবার লাইন শুরু করেছেন মধ্যরাত থেকেই। মহামারি থেকে বাঁচতে মরিয়া সকলেই। অথচ নেই ভ্যাকসিনের চাহিদা। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে টিকা। এই সমস্যা ভারতের সমস্ত প্রান্তে প্রতিদিন ঘটে চলেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।

তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল লম্বা লাইনে উধাও দুরত্ববিধি। কয়েকঘন্টা লাইনে থাকার পর ভ্যাকসিন না মেলায় শুরু হয় বচসা৷ যা সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীদের অথবা পুলিশ আধিকারিকদের। কেরল হাইকোর্টকে দেওয়া বয়ানে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসে মোট ৮.৫ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন দেশে ১২ থেকে ১৩ লক্ষ ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেই সংখ্যায় মিটছে না চাহিদা।
ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন না থাকার কারণে দিল্লি, মহারাষ্ট্র টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে। চাহিদা মেটাতে বহু রাজ্যই বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করতে চাইছে।

তথ্য অনুযায়ী, একমাসে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি কোভিশিল্ড উৎপাদম হচ্ছে। কোভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে প্রায় ২ কোটির কাছাকাছি। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন মেটাতে পারছে না চাহিদা।

ইতিমধ্যেই শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বেড়ে চলেছে করোনার দাপট। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে টেস্টিং বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মিউটেশনের মাধ্যমে চরিত্র বদলাচ্ছে করোনার। মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের।

সংকটের দিনে রেহাই মিলতে পারে টিকাকরণের মাধ্যমেই। তার জন্য আরও বেশী সংখ্যায় ভ্যাকসিন সেন্টারের প্রয়োজন। প্রয়োজন ভ্যাকসিনের। সবচেয়ে বড় কথা, সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গোটা বিষয়টা যাতে সম্পন্ন হয় সেদিকেও নজর রাখা জরুরী।

সম্পর্কিত পোস্ট