আত্মরক্ষায় সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ ভারতের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ সেপ্টেম্বর চুসুল সীমান্তের মলডোতে সেনা কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত এবং চিনের মধ্যে। কিন্তু সমঝোতার কথা বললেও আদতে তা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই লালফৌজের হুশিয়ারি রুখতে আত্মরক্ষার জন্য ভারতীয় সেনাকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিল নয়া দিল্লি।

এই নিয়ে ষষ্ঠবার দুই দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের বৈঠক হয়। পঞ্চম বৈঠকের ৫০ দিন পর মলডোতে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেম লেফট্যানেন্ট জেনারেল হরিন্দর সিং এবং চিনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল লিউ লিন।

নয়া দিল্লির বক্তব্য অনুযায়ী, চুক্তিমাফিক সীমান্তে দুই সেনাবাহিনীর ১৫ থেকে ২০ জন করে সেনা থাকার কথা। কিন্তু তা না করে সীমান্তে ক্রমশ সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। তার ওপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে লাল ফৌজের তরফে৷ তাই হাত গুটিয়ে বসে না থেকে কিছুটা এগিয়ে পদক্ষেপ নিল ভারত।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/corona-affected-transport-minister-shuvendu-adhikari/

কিছুদিন আগেই চিনের সেনাপ্রধান তথা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ বৈঠকে বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা ভেঙে কারোর অধিকার কেড়ে নিতে চায় না চিন। বরং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে রাজি তাঁরা।

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, দুই আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব। খুব তাড়াতাড়ি ডব্লুএমসিসির বৈঠক হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোনওরকম বিবাদ এড়াতে এবং দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা এড়াতে সীমান্তে সেনা বাড়ানো বন্ধ করুক চিন।

গত মে মাস থেকে চলা লাদাখের উত্তেজনার বরফ গলাতে একাধিলবার বৈঠকে বসেছে দুই দেশ। সেনা পর্যায়ের পাশাপাশি মস্কোতে মুখোমুখি বৈঠকে বসে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক এবং বিদেশমন্ত্রক। তাতেও বরফ গলেনি।

বরং হাড় কাপানো শীতেও লাল ফৌজের দাপট বেড়েই চলেছে। সীমান্তের বাড়ানো হয়েছে সেনা ছাউনি। মোতায়েন করা হয়েছে ট্যাঙ্ক, মিসাইল এবং অত্যাধুনিক বিমান। শীতের জন্য প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে ভারতও। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী।

সম্পর্কিত পোস্ট