দেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রাকৃতিক গ্যাস পৌঁছে দেবে মার্কিন সংস্থা

ট্রাম্পের সঙ্গে চুক্তির ফলে ধীরে ধীরে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনাই নয়াদিল্লির মূল লক্ষ্য । এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।

দ্য কোয়ারি ডেস্ক- ট্রাম্পের দুদিনের ভারত সফরকে পুরোপুরি ভাবে বাণিজ্যিক সফরের তকমা দেওয়া যায় নি ।

তবে এই সফরে দেশের দুটি প্রধান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে । প্রথমটি প্রতিরক্ষা এবং দ্বিতীয়টি গ্যাস ক্ষেত্রে দু দেশের সংস্থার গাঁটছড়া ।

ইন্ডিয়ান অয়েল- চার্টইন্ডাস্ট্রিজ চুক্তি

ভারতের তরফে ইন্ডিয়ান অয়েল এবং মার্কিন সংস্থা এক্সনমোবিলের ভারতীয় শাখা এক্সনমোবিল ইন্ডিয়া এলএনজি এবং আমেরিকার তরফে চার্ট ইন্ডাস্ট্রিজ়ের ।

 যার মূল লক্ষ্য, পাইপলাইন সংযোগের বাইরে থাকা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস পৌঁছনোর পরিকাঠামো তৈরি ।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে বিভিন্ন মার্কিন পণ্যে চড়া শুল্ক নিয়ে তোপ দেগেছেন ট্রাম্প । 

তবে চড়া শুল্কের আবহেই গত কয়েক বছরে আমেরিকা থেকে ভারতের তেল আমদানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । 

মঙ্গলবার যার প্রশংসা শোনা গিয়েছে খােদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে ।

এবিষয়ে মার্কিন বিদ্যুৎ সচিব ড্যান ব্রুইয়েত জানান, দু’বছর আগেও দিনে ২৫,০০০ ব্যারেল তেল আমদানি করত ভারত ।

এখন যার পরিমান ২.৫ লক্ষ । তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী দেশ হল আমেরিকা ।

এই পরিস্থিতিতে দু’দেশের সংস্থার মধ্যে গ্যাস সরবরাহের চুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত অনেকের ।

বিশেষত, ভারতের সম্ভাবনাময় তেল-গ্যাসের বাজারকেই যেখানে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বিশ্বের তাবড় সংস্থাগুলি ।

ইন্ডিয়ান অয়েল- চার্টইন্ডাস্ট্রিজ চুক্তি, শুধুমাত্র পাইপ লাইন নয় নেওয়া হলে ভিন্ন পন্থা

চুক্তি অনুসারে, গ্যাস গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন জায়গায় ও পাইপলাইন ছাড়া কী ভাবে সড়ক, রেল ও জলপথে কন্টেনারে করে এলএনজি পাঠানো যায়, তার পথ খুঁজবে তিন সংস্থা । 

এক্সনমোবিল এলএনজি মার্কেট ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স ভল্কভের মতে, দরকার মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত গ্যাস পৌঁছনোই লক্ষ্য । 

আরও পড়ুন : করোনা আতঙ্কে তলানিতে ঠেকেছে সেনসেক্স 

একই কথা জানান চার্টের সিইও জিলিয়ান ইভাঙ্কও। চার্টের কাজই হল এলএনজি পরিবহণ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের যন্ত্রাংশ নির্মাণ ।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের বাজারে তেল ও গ্যাসের চাহিদা মেটাতে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির উপরেই নির্ভরশীল ভারত। 

যার মধ্যে রফতানিকারীদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ইরাক । সৌদি আরব এত দিন সব চেয়ে উপরে থাকলেও, এখন তারা দ্বিতীয় স্থানে ।

ট্রাম্পের সঙ্গে চুক্তির ফলে ধীরে ধীরে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনাই নয়াদিল্লির মূল লক্ষ্য । এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।

সম্পর্কিত পোস্ট