ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কমছে আগ্রহ, তিন দফা কাউন্সেলিংয়ের পরেও ফাঁকা অর্ধেক আসন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আবারও একই চিত্র দেখা গেল রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে। তিন দফা কাউন্সেলিংয়ের পরেও ৫০ শতাংশেরও বেশি আসন ফাঁকা।

এবারই প্রথম নয়।বিগত কয়েক বছর ধরেই এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট)-এর অর্ধেকের বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং আসন এখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটছে? উচ্চশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, একদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগ্রহ কমেছে। তেমনই পড়ার খরচ বেড়েছে। তাতেই অনেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

অন্যদিকে, গত কয়েক বছরে রাজ্যের শিল্পের অবস্থা খুব একটা উন্নত না হওয়াকেও দায়ী করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।

প্রতি বছর সাধারণত এপ্রিল মাস নাগাদ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। তারপর শুরু হয় কাউন্সেলিং। তবে এ বছর পরীক্ষা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে।

পড়ুয়াদের একাংশের ধারণা ছিল, এপ্রিল মাস নাগাদ আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাই সে সময় অনেকেই পরীক্ষায় বসেননি। এটাও আসন পূরণ না হওয়ার জন্য অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ভর্তির জন্য প্রতি বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড তিনটে কাউন্সেলিং করে থাকে। তারপর করে বিকেন্দ্রীকরণ কাউন্সেলিং। এর মাধ্যমে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/5-more-central-leaders-are-coming-to-the-state-to-organize-the-organization-of-bengal-and-gerua-forces/

তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়নি, বিকেন্দ্রীকরণ কাউন্সেলিং কবে করা হবে।

বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলো আশ্বাস দিয়েছে, ভর্তি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবেন না। তাঁদের জন্য অনলাইনে যে নির্দেশিকা রয়েছে, সেগুলো মেনে চললেই হবে। তারপরেও যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

শিক্ষাবিদদের ব্যাখ্যা, এখন অনেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান না। তারমধ্যে এর খরচ বেড়ে যাওয়া অন্যতম কারণ। সেইসঙ্গে করোনা অতিমারীর জন্য চাকরির বাজারও সংকুচিত হয়েছে। এত টাকা খরচ করে লেখাপড়া শেষ করার পর কেউ যদি চাকরি না পায় ! তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।তাই ইঞ্জিনিয়ারিং বাদ দিয়ে বিকল্প দিকে ঝুঁকছেন পড়ুয়ারা।

সম্পর্কিত পোস্ট