এজেন্সি শুধু বিরোধী রাজ্যেই সক্রিয়, সরব মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ইডি-সিবিআই হানায় জেরবার বাংলা। প্রায় রোজ কোন‌ও না কোনও তৃণমূল নেতার বাড়ি, অফিসে রেড হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা, আপ, আরজেডি-র একের পর এক নেতার বাড়িতে হানা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল বহু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলার শুভেন্দু অধিকারী, কর্ণাটকের শ্রীরামালু, ইয়েদ্দুরাপ্পা সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ‌ই করা হচ্ছে না। এই নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে হলেও খাতায় কলমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সিবিআই স্বশাসিত তদন্ত সংস্থা। ফলে তারা যাই পদক্ষেপ করবে তা নিরপেক্ষ হবে এটাই কাম্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে‌ই তাদের যাবতীয় সক্রিয়তা।

রাহুলের ‘ভারত জোড়ো’ ও বিজেপির আইটি সেলের ‘টেলর মেড’ কুৎসা

এই যেমন, নীতীশ কুমার যতদিন বিজেপির সঙ্গে ছিলেন, ততদিন তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত সেভাবে হয়নি। কিন্তু তাঁর জেডি(ইউ)  বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতেই চাকা ঘুরে গিয়েছে। হঠাৎ করেই নীতীশের দলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এই বাংলায় আবার বিজেপিতে গেলে নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার বিজেপি ছাড়লে তদন্ত শুরু হচ্ছে। এতে এজেন্সির পক্ষপাতমূলক অবস্থান পরিষ্কার বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক এই বিষয়টি তুলে ধরেই ইডি-সিবিআইয়ের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও তাদের অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, এজেন্সি ব্যবহার করে বিজেপি আসলে বাংলা সরকারের অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। জনতার ভোট না পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে তারা। এতে তিনি ভয় না পেলেও গণতন্ত্রের পক্ষে যে এ ভালো ইঙ্গিত নয় তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পর্কিত পোস্ট