আইপিএল ২০২০ঃ আরব প্রদেশে দিল্লির লড়াই
শুভজিৎ চক্রবর্তী
একবারও ফাইনাল না জেতা দিল্লি গতবার আইপিএলে বেশ চমকপ্রদ ফলাফল পেয়েছে। একঝাঁক ঘরোয়া লিগ খেলা তারকা এই দল জেতার অন্যতম রহস্য।
কিন্তু করোনার কারণে আরব আমিরশাহীতে আইপিএলের বদলি হওয়াতে অসুবিধায় পড়তে পারে দিল্লি ক্যাপিটাল। তবে তার আগে একবার গোটা দলে চোখ বুলিয়ে নেওয়া দরকার।
ওপেনিং জুটিতে থাকছে শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ্ব। তারপরেই থাকছে অজিঙ্ক রাহানে অথবা শ্রেয়াস আইয়ার। এরপর মিড অর্ডারে থাকছেন ঋষভ পান্থ।
করোনার কারণে ওয়ার্ল্ড টি টোয়েন্টির সময়সূচীতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই প্রথম পাঁচ খেলোয়াড়ের কাছে এবারের আইপিএল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখান থেকে টিম ইন্ডিয়া দলের অস্ত্র খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।
নতুন করে বদলি হয়ে দলে এসেছেন রাহানে। আপ অর্ডারের পাশাপাশি স্লো পিচে তাঁকে ব্যবহার করে স্পিনিংয়ের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য ব্যাটিং লাইন আপ তৈরি করতে চান কোচ রিকি পন্টিং।
মিড অর্ডারে আলোচনায় রয়েছেন সিমরন হেটমায়ের এবং মার্কাস স্টোনিস। এর আগে অক্সর প্যাটেল অথবা হার্শাল প্যাটেলকে খেলানো যেতেই পারে।
তবে অক্সর প্যাটেলকে আপ অর্ডারে ব্যবহার করে ঋষভ পান্থকে পরে নামিয়েও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার৷ কারণ অন্যান্য ব্যাটসম্যানের তুলনায় স্পিন এবং ফাস্ট দু তরফা বোলিংয়ে ঋষভের জমাটি পারফরম্যান্স রয়েছে।
বোলিংয়ে প্রথমেই থাকছে ইশান্ত শর্মা এবং কাগিসো রাবাডার নাম। স্পিন বোলিংয়ের ক্ষেত্রে অমিত মিশ্র এবং রবীচন্দন অশ্বীনকে পাচ্ছে দিল্লি। সময়মতো অক্সর প্যাটেলকে চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন স্কিপার শ্রেয়স।
তবে ব্যাক অব দ্য লেন্থ ডেলিভারির জন্য মোহিত শর্মা মরুপ্রদেশে কমজুরী হতে পারেন। সেক্ষেত্রে ড্যানিয়েল স্যামস দিল্লির বেস্ট অপশন হতে পারেন। কারণ, জেশন রয়কে বদলে ড্যানিয়েল স্যামসকে আনার উদ্দেশ্য ছিল দলের বোলিং স্ট্রেন্থকে আরও বাড়িয়ে দেওয়া। সেটা করতে কোচ রিকি পন্টিং কতটা সক্ষম হন? সেটাই দেখার।
আসন্ন আইপিএল শুধুমাত্র দিল্লির ভবিষ্যত বদলে দিতে পারে না। অদুর ভবিষ্যতে টিম ইন্ডিয়ার স্টার ক্রিকেটারের খোঁজ মিলতে পারে এই দল থেকেই। কে বলতে পারে এই আইপিএলের পর হয়তো বদলে যেতে পারে শ্রেয়স আইয়ারের ভবিষ্যত।