আইপিএল ২০২০ঃ হিটলিস্টে হায়দ্রাবাদ
শুভজিৎ চক্রবর্তী
প্রথম চার শক্তিশালী দলের মধ্যে সামঞ্জস্য পূর্ণ দল হল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ২০১৬ সালে আইপিএল জয়। শেষবার আইপিএলের প্লে অফ খেলা দল এবারেও হিটলিস্টে।
ঘুরে দেখা যাক আইপিএলের অন্যতম হট ফেবারিট টিম অরঞ্জের দিকে। শুরুতেই যে বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে তা হল হায়দ্রাবাদের ওপেনিং জুটি। জনি ব্যারিস্টো-ডেভিড ওয়ার্নার, নাকি জনি ব্যারিস্টো-কেন উইলিয়ামসন? চার জন বিদেশীর জায়গায় উইলিয়ামসন না থাকার সম্ভাবনা বেশী। থাকলে ওয়ার্নারকে তিন নম্বরে দেখা যেতে পারে।
মনীশ পান্ডে, বিজয় শঙ্কর, ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ নাবী, বিরাট সিং, মিচেল মার্শ, সঞ্জয় যাদব এবং আবদুল সামাদের মতো দলে একাধিক তরুণ মিড অর্ডারের ব্যাটসম্যান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে মনীশ পান্ডে এবং বিজয় শঙ্কর ।
কারণ গত বছরে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল মনীশ পান্ডের পারফরম্যান্স। সেইসঙ্গে গত এক বছরে আন্তর্জাতিক দলে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি বিজয় শঙ্কর। তাই আসন্ন আইপিএলে নিজের সেরাটা তুলে ধরার চেষ্টা করবেন তিনি।
বাকি মিড অর্ডারে থাকতে পারেন বিরাট সিং, মহম্মদ নবী এবং ঋদ্ধিমান সাহার মতো খেলোয়াড়রা। যদিও প্রয়োজনে ঋদ্ধিমানের পরিবর্তে আবদুল সামাদ অথবা সঞ্জয় যাদবকে ব্যবহার করতে পারেন স্কিপার ওয়ার্নার।
কারণ চলতি সিজনে ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়েছে সঞ্জয়। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের জন্য এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেননি জম্মু-কাশ্মীরের তারকা অলরাউন্ডার সামাদ। দুজনেই লেফট আর্ম স্পিনিংয়ে অসাধারণ। তাই দলে থাকার সম্ভাবনাও বেশী।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/ipl-2020-mumbai-indiance-preparation/
বোলিংয়ে ভুবনেশ্বর কুমার, রাশিদ খান, সিদ্ধার্থ কৌল, বাসিল থাম্পি এবং সন্দীপ শর্মারাও ধারালো। দীর্ঘ সময় বিরতির পর ভুবনেশ্বরের আক্রমণ কতটা ধারালো হবে? সে বিষয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
তবে বিলি স্ট্যানলেকের মতো খেলোয়াড়কেও ব্যবহার করতে পারে অরেঞ্জ আর্মি। মরুপ্রদেশে ম্যাচের আবহাওয়া এবং পিচের আবহাওয়ার পুর্বাভাস রাশিদ খান এবং মহম্মদ নাবীর মতো খেলোয়াড়রা অনায়াসে বুঝতে পারবে। সেটাই প্লাস পয়েন্ট হবে হায়দ্রাবাদের জন্য।
তবে ম্যাচ জিততে হলে রান করাটা ভীষণ জরুরী। তার জন্য মিড অর্ডারকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। মরুপ্রদেশের স্লো কি ওয়ার্নারদের ফেবারে যাবে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন