মােবাইল বাজারে চিনা দ্রব্য উপেক্ষা করা কঠিন, মত ক্রেতা-বিক্রেতাদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভারত-চিন সম্পর্কের গরমাগরমীর প্রভাব ক্রমেই পড়তে শুরু করেছে দেশের বাজার অর্থনীতিতে। একাধিক রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সামাজিক সংগঠন চিনা সামগ্রী বর্জনের ডাক দিচ্ছে ।

প্রত্যেক দিনের ব্যবহারিক জীবনে যেভাবে চিনা সামগ্রী জায়গা করে নিয়েছে আদেও কি তা সম্ভব?

আমাদের দেশে চিনা পন্যের প্রভাব কতটা তার সবচেয়ে ভালাে প্রমাণ লক্ষ্য করা যায় মােবাইল ব্যবসার দিকে তাকালেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মুখে যতই আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলুন না কেন, সাধারণের প্রায় সর্বক্ষণের সঙ্গী মােবাইল ব্যবসায় চিনের দাদাগিরির প্রভাব স্পষ্ট।

দেশে জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে থাকা প্রথম পাঁচটি সংস্থার তিনটিই চিনের । শাওমি, ভিভাে, অপাে, রিয়েলমী সব ফোন সংস্থাই আসলে চিনের। এই নিয়ে কলকাতার চাদনী মাকের্টে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেল তাতে চোখ কপালে ওঠের দায় ।

ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মতামত শুনে আপনারও মনে হতে পারে মােবাইল ব্যবসায় আত্মনির্ভরতার তত্ত্বে আদতে গালভরা কথা ছাড়া কিছু নয়।

চাদনীচকের এক প্রসিদ্ধ মােবাইল বিপনীর মালিক অরিন্দম মিদধা দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তের দেশের মােবাইল বাজরের শতাংশই চিনের দখলে। এখানেই শেষ নয়, মােবাইল যন্ত্রাংশের ৭০ শতাংশই আসে চিন থেকে।

খােলা বাজারে যেসব সার্কিট বাের্ড , ব্যাটারী অথবা চার্জার সবই রফতানি হয় চিন থেকে।

লকডাউনের পরও ক্রেতার দেখা নেই, খুলেও লোকসানের কারণে বন্ধ বহু রেস্তোরাঁ

তিনি অরও বলেন , ভারতীয় সংস্থা শুধুমাত্র ৩০ শতাংশ মােবাইল যন্ত্রাংশ তৈরি করে বহুক্ষেত্রে দেখা যায় দেশীয় সংস্থা চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে ভারতীয় ফ্যাক্টরীতে মােবাইল প্রস্তুত করেন। বিক্রেতাদের দাবি, সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তিগত মােবাইল যন্ত্রাংশ তৈরির পরিকাঠামাে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের নেই। আর থাকলেও তার খরচ অনেকটাই বেশি।

ফলে সাধারণ গ্রাহকদের কাছে কম দামে বেশি ফিচারযুক্ত চিনা সামগ্রীর চাহিদা অনেকে বেশি। ফলে মােবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্তত চিন নির্ভরতা আদেও এড়ানাে যাবে কিনা সন্দেহ।

সম্পর্কিত পোস্ট