এখনই সংখ্যা ঘোষণা সমীচীন নয়, জোট নিয়ে বৈঠকের পর জানালেন অধীর চৌধুরী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, আরজেডি এবং এনসিপি আস্থা রাখছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে শামিল হওয়া দরকার। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমরা তাঁদের জন্য কিছুটা জায়গা ছেড়ে রাখতে চাইছি। বাম কংগ্রেসের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
১৬ নির্বাচনের পর বাংলায় জোট নিয়ে ফের আলোচনায় বসেছিল বাম-কংগ্রেস। মঙ্গলবার আলিমুদ্দিনে সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং মনোজ চক্রবর্তীরা। বামেদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপি(আই)এমের রাজ্য সম্পাদক সুর্যকান্ত মিশ্র।
বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনা চলছিল ২১ এর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোটে কি শামিল হবে আইএসএফ? দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চললেও সেভাবে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তবে আলোচনা চলছে। এবিষয়ে মতামত প্রকাশ করেছিল তিনটি দলই।
আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে চলবে মহাপঞ্চায়েত, আন্দোলনের নতুন স্ট্র্যাটেজি কৃষকদের
যদিও শুরু থেকেই জোটের জন্য অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক দলগুলিকে আহ্বান জানিয়ে এসেছে বাম-কংগ্রেস। সেই তালিকায় জুড়ল এনসিপি এবং আরজেডির নাম। বাংলায় এই সমস্ত ছোট দলগুলির কথা মাথায় রেখেই এখনই জোটের সংখ্যা কিছু ঘোষণা করলেন দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ সফল হয়েছে বলে দাবী করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, স্বৈরাতান্ত্রিক এবং সাম্প্রদায়িক দুই দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য একাধিক দল আস্থা রেখেছে। তাই এখনই সংখ্যা ঘোষণা করা ঠিক হবে না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬০ থেকে ৭০ আসনে লড়াইয়ে প্রস্তাব রেখেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ৪৪ টি আসন। বাকি গুলি উত্তরবঙ্গের। একইসঙ্গে প্রত্যেকটি আসনে নিজেদের সংগঠন নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে তাঁরা।
কোনমতেই ৫০ এর কম আসনে লড়াই করতে চায় না আব্বাস সিদ্দিকির দল। এমন একটি অবস্থায় নমনীয় জায়গায় এসে জোট চায় বাম এবং কংগ্রেস। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই আসন নিয়ে বৈঠকে বসবেন বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ। ১৮ তারিখ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন আইএসএফের শীর্ষ নেতৃত্ব।