কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব
দ্য কোয়েরি ওয়েবডেস্কঃ সঠিক পদক্ষেপ অবলম্বন করলেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে। শুক্রবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্র সরকারের বিশেষ পর্যবেক্ষক দল।
ডঃ কে বিজয়রাঘবন জানিয়েছেন, একেবারে লোকাল লেভেল যদিও সঠিকভাবে করোনার নিয়মবিধি মেনে চলা যায় তাহলে দেশের কোনও জায়গাতেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়বে না। এমনকি কোনও রাজ্য, জেলা এবং শহরেও এর প্রভাব সেভাবে পড়বে না বলে মন করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় বিভাজনের কারণেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে মুক্তি করোনার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও কিছু বদল আনা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ পার করেছে। শুক্রবারে কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩,৯১৫ জন। এমত অবস্থায় দেশের একাধিক হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং চিকিৎসার অভাব দেখা দিয়েছে। শশ্মান এবং করবস্থানে থরে থরে সাজানো রয়েছে মৃতদেহ।
এই কঠিন সময়ে প্রশ্নও উঠেছিল তবে খুব শীঘ্রই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে চলেছে গোটা দেশে? ব্যাঙ্গালুরু ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ প্রফেসর এবং এপিডেমোলজিস্ট গিরিধর বাবু জানিয়েছেন, দিপাবলীর আগেই দেশে ভ্যাকসিনের প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলা দরকার। তবেই তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ফলে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমবয়সীদের।
তিনি জানিয়েছেন, এখনও থেকেই কতগুলি বিষয় মাথায় রাখলেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কতজন মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে, ভিড় কীভাবে এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে, কত তাড়াতাড়ি করোনার নতুন স্ট্রেনের সন্ধান মিলতে পারে, একইসঙ্গে কত তাড়াতাড়ি সংক্রমণের হাত থেকে রুখে দাঁড়ানো যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলের বহু সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এমন অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকে অ্যাসিন্ড্রোমেটিক। আগামী ছয় মাসে তাঁদের শরীরে প্রতিরোধের ক্ষমতা কমতে শুরু করবে। এর জন্যেই অতি দ্রুত ভ্যাক্সিনের প্রক্রিয়া চালু করা প্রয়োজন।