এখন আমার হাসার সময় এসে গিয়েছে, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুই দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২১ এর নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের স্ট্র্যাটেজি কি হবে? সেটাই ঠিক করে দিলেন প্রাক্তন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি।

শনিবার বিহার বিধানসভার শেষ দফার নির্বাচন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবারের নির্বাচনী প্রচারে অনুপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোকাসে রয়েছে বাংলায় সরকার গঠন। বাংলায় ২০০ এর বেশী আসন নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করবে দাবী করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গতবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২২ টি আসন পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রাক্তন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি। সেবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় অনেকেই সেভাবে নেননি। কিন্তু বাংলা থেকে ১৮ জন বিজেপি সাংসদ দিল্লি যাওয়ার ছাড়পত্র পান। এরপরেই অমিত শাহ বলেন “আব মেরে হাসনে কা টাইম হে”।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কাকে বেছে নেওয়া হবে সেবিষয়ে কিছু বলেননি অমিত শাহ। দলের সংসদীয় কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।

শুরু থেকেই তৃণমূল সরকারের তোষণের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন অমি শাহ। মমতা সরকারের ওপর আশা হারিয়েছে মানুষ। মোদি সরকারের ওপর আশা রাখছে, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগেও বিজেপি রাজ্য বিজেপি নেতাদের মুখে বলতে শোনা যায় প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনীতি করছে তৃণমূল। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একই কথা বলতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায়। সেই সঙ্গে উঠে আসে দুর্নীতির অভিযোগও।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে তৃণমূল। বাংলার মানুষকে প্রায় ৮০ টির অধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আর প্রত্যেকমাসে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে টাকা চাইছেন। তাই আগামী বছর বিজেপির সরকার গঠন করার জন্য বাংলার মানুষের কাছে আর্জি জানান তিনি। বাংলার মানুষকে আশ্বাস দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর বাংলায় বিজেপির সরকার গঠন হলে সাধারণ মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত টাকা পৌঁছাবে।

মহাপঞ্চমীর দিন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিমল গুরুংয়ের উত্থান উত্তরবঙ্গের ভোট বদলে দিতে পারে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুক্রবার বিমল গুরুং প্রসঙ্গে অমিত শাহের মন্তব্য, বিমল গুরুং আগেও গোর্খাদের হয়ে লড়াই করছিলেন এখনও লড়াই করছেন। কিন্তু যে রাজ্য সরকার বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছিল সে কি করে পারল সেই লোককে নিজেদের দলে নিতে?

এছাড়াও সিএএ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফ জানিয়ে দেন, করোনার কারণে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কাজ এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু যখন বিল পাশ হয়েছে, তখন এর কাজও শুরু হবে।

এই মুহূর্তে রাজনীতির চাণক্য বলা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। ১৯ এর নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে বাংলা থেকে ১৮ টি আসন পায় বিজেপি। তাই বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্র একেবারে তাঁর চেনা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দুই দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফর বলে দিচ্ছে ভোটের ঘন্টা বেজে গিয়েছে। তাই এবার দেরি না করে শুরু থেকে রণনীতি ঠিক করতে নিজেই মাঠে নেমেছেন অমিত শাহ।

সম্পর্কিত পোস্ট