বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান শিবসেনার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চালাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই সময় সমস্ত দলগুলির উচিত তৃণমূলের পাশে থাকা। বিজেপিকে রুখতে ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ার আহ্বান জানানো হল শিবসেনার মুখপত্র সামনায়। মমতার সরকার ফেলতে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বিজেপি। কটাক্ষ করেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।
শিবসেনা সাংসদ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বড়ো মাপের রোড শো চলছে। এদিকে মহারাষ্ট্রে সরকারকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নৈশ্য কার্ফু জারি করা হয়েছে। তৃণমূল শিবসেনা বিচ্ছিন্নতার রাজনীতির কথা বলে। বিজেপি সবাইকে নিয়ে চলে দাবী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
বিজেপির বিরুদ্ধে এককে শক্তি জোট গড়ার ফর্মুলা দিয়েছে সামনা। সকলকে এক ছাতার তলায় এসে শক্তিশালী ইউপিএ জোট তৈরির জন্য আহবান জানিয়েছে শিবসেনা। সেই জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মুখ হিসাবে শরদ পাওয়ারকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শিবসেনার মুখপত্র সামনায় লেখা হয় বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ না হওয়ার ফায়দা তুলছে বিজেপি। কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলার আগে বিরোধীদের উচিত একজোট হয়ে কাজের দিকে নজর দেওয়া। কৃষক আইনের বিরুদ্ধে রাহগুল গান্ধী এককভাবে লড়াই করলেও অন্যান্য দলগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না।
সামনায় আরও বলা হয়, বর্তমানে ইউপিএকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নরেন্দ্র মোদি অথবা অমিত শাহের মতো নেতৃত্ব নেই। বিরোধী সমস্ত দল এককভাবে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করলেও তাঁরা কেউই ইউপিএর অংশ নয়। উদাহরণ হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল, শিবসেনা, আকালি দল, বিএসপি, এসপি, বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস। যতক্ষণ অবধি এই বিরোধী দলগুলি একই ছাতার তলায় এসে লড়াই করছে ততক্ষণ অবধি বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ ব্রিটেনের করোনার নতুন প্রজাতি, সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপ নিল ভারত
শিবসেনার বক্তব্য, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করা হচ্ছে। অথচ মহারাষ্ট্র সরকারকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা গণতন্ত্র নয়। শিবসেনার তরফে আরও বলা হয়েছে কেন্দ্র বিরোধীদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। কারণ বিরোধী শক্তি দুর্বল। বিরোধীদের শক্তিশালী করে তুলতে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। বিজেপির বিরুদ্ধে শক্ত নেতা হিসাবে উঠে এসেছে শরদ পাওয়ারের নাম।
সামনায় আরও বলা হয়, বাংলায় মমতা একা লড়ছেন। কেন্দ্র মমতার সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে। এই সময় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। যেটা কংগ্রেসের নেতৃত্বে হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ইউপিএ দুর্বল হওয়ায় আজ এই অবস্থা।
দিন কয়েক আগে জল্পনা শুরু হয় ইউপিএর চেয়ারম্যান পদে সোনিয়া গান্ধীর পরিবর্তে আসতে চলেছেন শরদ পাওয়ার। যদিও এনসিপি সেই জল্পনায় জল ঢালে। কৃষক আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতে এই কাজ করা হচ্ছে বলে এনসিপির তরফে দাবী করা হয়। শরদ পাওয়ার ইউপিএর দায়িত্ব পেলে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানিয়েছে শিবসেনা।