জহর ও হোয়াটসঅ্যাপ কিস্যা, দিনের শেষে হাতে রইল পেন্সিল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এই নেই, এই আছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জহর সরকারের উপস্থিতি নিয়ে শনিবার সারাদিন এই টানাপোড়েন চলল। বিকেলের দিকে হঠাৎই জানা গেল রাজ্যসভার সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এই প্রাক্তন আমলাকে।
তবে শেষ পর্যন্ত জহর সহ দলের সব রাজ্যসভা সাংসদকে নিয়ে নতুন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়। ফলে প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করলেও আপাতত তৃণমূল কংগ্রেসের মূল স্রোত থেকে বাদ পড়তে হচ্ছে না জহর সরকারকে।
মেঠো রাজনীতির ময়দানে জহর সরকার তৃণমূলের কাছে কোনও ফ্যাক্টরই নন। না তিনি কোনও ডিভিডেন্ট দিতে পারবেন, না তাঁর জন্য দলের সরাসরি কোনও ক্ষতি হবে। তবে প্রাক্তন আমলা হিসেবে পরিচিত মুখ এবং সিভিল সোসাইটির সদস্য হওয়ায় তাঁর কথার মাধ্যমে শিক্ষিত বাঙালির মত যে অনেকটাই প্রতিফলিত হয় তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
তাছাড়া সেই নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর থেকেই এই সিভিল সোসাইটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের একের পর এক ঘটনায় তাঁরা কিছুটা হলেও যে অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছেন তা অনেকের কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছিল।
সেখানে জহর সরকার যেভাবে, তৃণমূলের একটা দিকে পচে গিয়েছে, এই দলীয় কাঠামো নিয়ে ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে লড়া সম্ভব নয়ের মতো বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সেটা তৃণমূলের কাছে অশনি সঙ্কেতের সমান বলে অনেকের ধারণা।
আবার তৃণমূলেরই দীর্ঘদিনের রাজনীতি করে আসা সাংসদ-বিধায়কদের একটা অংশ এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় জহর সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট। দমদমের সাংসদ সৌগত রায় তো প্রকাশ্যেই তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
রাজুর টাকার উৎস খুঁজতে তৃণমূল বিধায়ক, পুরপ্রধানের বাড়ি সিবিআই হানা
এই পরিস্থিতিতে জহরকে দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বার করে দেওয়ার অর্থ যে অন্য কিছু ইঙ্গিত করে, তা সকলেই বোঝেন। কিন্তু এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় ফের আরেকটি নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলতে তাঁরা বাধ্য হলেন কিনা সে বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর জহর সরকারের প্রকাশ্য মন্তব্যকে ভালোভাবে না নিলেও এখনই এই প্রাক্তন মামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চান না মমতা ও অভিষেক। এই পরিস্থিতিতে দলের কেউ জহরকে আক্রমণ করে আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করুন সেটাও চাইছে না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।