করোনা আবহে খুশির বার্তা, দ্রুত গ্রিন জোনে যাবে জলপাইগুড়ি-কালিম্পং, জানালেন মুখ্যসচিব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে সোমবারই প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয় নিজেদের রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির দিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

তাই সেই দিকে গুরুত্ব আরোপ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানান, “দ্রুত জলপাইগুড়ি ও কালিম্পংকে অরেঞ্জ জোন থেকে বের করে গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কারণ গত ২৭ দিন ধরে এই জেলাগুলি থেকে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। নিয়মানুযায়ী ২৮ দিন ধরে পর্যবেক্ষণের পর কোনও স্থান থেকে যদি সংক্রমণের খবর না পাওয়া যায় তাহলে সেই স্থানকে গ্রিন জোন বলে চিহ্নিত করা হবে।”

রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে মৃদু উপসর্গ থাকলে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে নয়, বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেই চলবে। সেই একই নির্দেশিকা দেয় কেন্দ্রও। রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে পুল সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে সাংবাদিক বৈঠকে জানান রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা।

যে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেশী সেদিকে নজর দিক কেন্দ্রঃ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

অন্যদিকে করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি কতটা কার্যকরী সেটা এখনও গবেষণার স্তরেই আছে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।

মঙ্গলবার বিকেলের বৈঠকে তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এই থেরাপি নিয়ে ট্রায়াল শুরু করেছে। সঠিক নির্দেশিকা না মেনে এবং এই থেরাপির নিয়ম না জেনেই যদি যথেচ্ছভাবে রোগীদের উপর প্রয়োগ করা শুরু হয় তাহলে ফল ভাল নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যুগ্ম সচিব।

তিনি বলেন, সব থেরাপির একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। প্লাজমা থেরাপি সেই নিয়ম মেনে না করলে রোগীদের জন্য পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনকও হতে পারে।

অন্যদিকে, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিন রোগী। সাফল্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের। শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার হিমাচল বিহারের হাসপাতাল থেকে এদিন এই তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর এই তিন জনের মধ্যে দুই জন নার্স বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট