জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক অধিকারের কথা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবঃ ইউসুফ তারিগামী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে জরুরীকালীন বৈঠকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে গুপকর জোট। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে জোটের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন ফারুক আবদুল্লাহ৷
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, আমি, মেহবুবা জি এবং তারিগামী সাহেব গুপকর জোটের পক্ষে উপস্থিত থাকব। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন জানাব।
এবিষয়ে গুপকর জোটের অন্যতম নেতা প্রাক্তন সিপি(আই)এম বিধায়ক ইউসুফ তারিগামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উনি বলেন, শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা ৩৫(এ) ফেরতের কথাই বলব না, কাশ্মীরের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার কথাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তুলে ধরব। এর পাশাপাশি লাদাখের কথাও তুলে ধরব আমরা। যেভাবে কোনও আলোচনা ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়েছে তা অসাংবিধানিক। আমরা তা ফিরিয়ে আনার জন্য বদ্ধপরিকর৷ আমরা আবেদন করব প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে গত ৫ অগাস্ট,২০১৯ এর পর কী অবস্থায় রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর তা যেন উনি দেখেন।
সেইসঙ্গে শয়ে শয়ে যেসমস্ত নেতারা এখনও অবধি জেলবন্দী রয়েছে তাঁদের মুক্তির কথাও আমরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরব।
২০১৯ এ ক্ষমতায় এসে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫(এ) তুলে নেয় কেন্দ্র সরকার। রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। দীর্ঘ সময় ধরে বন্দী ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।
তারপর থেকে এই প্রথমবার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জম্মু-কাশ্মীরের সাতটি আঞ্চলিক দলের গুপকর জোটের সদস্যরা। গতবারের স্থানীয় নির্বাচনে ১০০ টির বেশী আসনে জয়লাভ করেন তাঁরা৷
আশা করা হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। তবে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর গুপকর জোট৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনাই প্রাথমিক উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।