রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু-কাশ্মীর, বৈঠকে আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার বিকেলে ৭ নং লোক কল্যাণ মার্গে চলল ৩ ঘন্টার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক৷ চার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ জম্মু-কাশ্মীরের ৮ দলের ১৪ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু-কাশ্মীর৷ এমনটাই সূত্রে খবর। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর টুইট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর প্রথমবার ১৪ জন প্রথম সারীর নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল৷ জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ, মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লাহ, ইউসুফ তারিগামী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
এদিন মুলত দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। কারণ, ২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি-পিডিপি সরকার ভেঙে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। এর পর থেকে আর কোনও নির্বাচন হয়নি। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। কিন্তু বিধানসভা এখনও গঠিত হয়নি। তাই সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এদিনের বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু আগে থেকে স্থির করা ছিল না।
বৈঠকের প্রাথমিক বিষয় নিয়ে গুপকর জোটের প্রতিনিধি সিপি(আই)এম নেতা ইউসুফ তারিগামী আগেই জানিয়েছিলেন, বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত নন তিনি। বৈঠকে সরকারের তরফে কি আলোচনা হয় সেটা দেখার । সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে টুইট করে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কথাল জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় কেন্দ্র সরকার। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজিত হয়। তার আগে ১ অগাস্ট থেকে দীর্ঘ সময় বন্দী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহ, ফারুক আবদুল্লাহ সহ জম্মু-কাশ্মীরের শয়ে শয়ে রাজনৈতিক নেতারা। দীর্ঘ দিন জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় আন্তর্জাতিক মহলেও।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কোভিড এবং লকডাউনের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসমূলক গতিবিধির কারণে রাজনৈতিক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এমনকি লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তাব জানানো হয়। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে সবুজ সংকেত দেয়নি জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। পরে ২০২০ এর ডিসেম্বরের নির্বাচনে ১০০ টির বেশী আসন পায় গুপকর জোট। ৭৭ টি আসন পায় বিজেপি।