কৃষক আন্দোলনে শামিল হতে দিল্লির উদ্দেশ্যে নাট্যকর্মী জয়রাজ ভট্টাচার্য

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একমাস পার করল দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন। কৃষকদের সঙ্গে পাঁচ দফার বৈঠকের পরেও বের হয়নি কোনও সমাধানসূত্র। তার ওপর যত সময় গড়াতে শুরু করেছে ততই বৃহত্তর হচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন।
এবার কৃষক আন্দোলনে শামিল হতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সকালে পায়ে হেঁটে এবং রাতের বেলা ট্রেনে চড়ে সিংঘু সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন নাট্যকর্মী জয়রাজ ভট্টাচার্য। সোমবার সকালে হাওড়ার শিবপুর থেকে সিংঘু সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি।
দ্য কোয়ারিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের ব্রিটিশ শাসনের পর এতবড়ো আন্দোলন হচ্ছে। টানা একমাস দিল্লির সীমান্তে হাড়হিম ঠান্ডায় আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাঁদের একটাই দাবী, কেন্দ্রের আনা তিন কৃষি আইনকে প্রত্যাহার করতে হবে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত অবস্থায় ৪০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এই কৃষি আইনের বিরোধিতা করছি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/government-invites-farmers-for-talks-on-wednesday/
তিনি আরও বলেন, এই কর্মসুচীতে তিনি একা নন। আরও বহু জেলার মানুষ রয়েছেন যারা এই কর্মসুচীতে অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছেন। যত সময় যাবে আরও নতুন করে মানুষ এই কর্মসুচীতে শামিল হবেন।
প্রথম দিন দুর্গাপুর, তারপর বর্ধমান, তারপর আসানসোল এভাবেই প্রাথমিক সুচী স্থির করেছেন। তবে ৫ ই জানুয়ারির মধ্যে সিংঘু সীমান্তে উপস্থিত হবেন বলে দ্য কোয়ারিকে জানিয়েছেন নাট্যকর্মী জয়রাজ ভট্টাচার্য।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, শুধুমাত্র দিনের বেলার ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পর, রাতের বেলা বাসে অথবা ট্রেনে এগিয়ে যাবেন।
সোমবার হাওড়া থেকে শ্রীরামপুর পায়ে হাঁটার পর ট্রেনে করে বর্ধমানে উপস্থিত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে ফের হাঁটা শুরু করবেন তিনি।