Jhalda Murder Update : ভাসুর নয়, চক্রান্ত করেছেন IC, SP-র মত উড়িয়ে দাবি তপন কান্দুর স্ত্রীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu) পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন বলে রবিবার দাবি করেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার (Purulia Police Super) এস সেলভামুরুগান।

তাঁর দাবি তপনের দাদা নরেন কান্দু (Naren Kandu) পারিবারিক বিবাদের কারণে ভাড়াটে খুনি দিয়ে ভাইকে খুন করেছেন। কিন্তু সেই দাবি মানতে রাজি নয় তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তিনি স্পষ্ট বলেন, অভিযুক্ত আইসিসিকে আড়াল করতেই ভাসুরের উপর দায় চাপাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি জানিয়ে দেন সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকছেন।

বৃদ্ধতন্ত্রের অবসানে বাংলা থেকে কারা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাবেন

Jhalda Murder Update

রবিবার পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান সাত লক্ষ টাকা সুপারি দিয়ে ভাইকে খুন করেছেন ধৃত নরেন কান্দু। তাঁর ছেলে দীপক কান্দু‌ও এতে জড়িত। কিন্তু পুলিশ সুপারের সাংবাদিক বৈঠকে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী জানান এটা পুরোপুরি শাসক দল এবং পুলিশের চক্রান্ত। ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

জোর করে পরিবারকে এখানে টেনে আনা হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। সিবিআই (CBI Investigation ) তদন্ত হলে সব সত্যি সামনে উঠে আসবে দাবি পূর্ণিমার। আদালতের উপর আস্থা আছে বলেও জানান। উল্লেখ্য আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার তপন কান্দু মামলার শুনানি আছে কলকাতা হাইকোর্টে।

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পরই এই ঘটনায় নাম জড়ায় আইসি সঞ্জীব ঘোষের। অভিযোগ ওঠে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য বারবার ফোন করে চাপ দিতেন তপনকে। এমনকি মৃত কাউন্সিলরের স্ত্রীর অভিযোগ জমা নিতে চাননি বলে‌ও অভিযোগ আছে ওই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি নেপাল মাহাত (Nepal Mahato) পুলিশ সুপারের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন আইসি কেন ফোন করে মৃত কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলতেন? তিনিও সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট