পুরপ্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা জিতেন্দ্র তিওয়ারীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পুরপ্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা জিতেন্দ্র তিওয়ারীর। ইস্তফার পর তিনি বলেন, আসানসোলের উন্নয়নের স্বার্থে লড়াই করতে হবে। তার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ ভাবে কাজ করা উচিত।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/shuvendu-adhikari-about-assembly-resingnation/
প্রসঙ্গত, বুধবারই উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। ১৮ ই ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল বৈঠকে বসার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি কে শান্ত এবং সংযত থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিন কয়েক ধরেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সরাসরি আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ফিরহাদ হাকিম।
শুভেন্দু প্রসঙ্গ টেনে দিন কয়েক আগেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেছিলেন, ববি হাকিমের কোন যোগ্যতা নেই শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে মন্তব্য করার।
শুধু তাই নয়, বুধবার বিধানসভায় পদত্যাগপত্র দেয়ার পর সুনীল মন্ডলের বাড়িতে বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তখনই জল্পনা উঠেছিল তখনই তাহলে কি শুভেন্দুর পথই অনুসরণ করছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি? সদুত্তর মেলেনি।
তবে বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে তিনি যাননি । তিনি গিয়েছিলেন সুনিল মন্ডলের বাড়িতে তার মাতৃবিয়োগের পর দেখা করার জন্য। সেখানেই হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে তবে রাজনৈতিক বিষয় সেখানে উঠে আসেনি।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি এদিন স্পষ্ট করে দেন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে তিনি নিজে দল ত্যাগের কোন সিদ্ধান্ত এই মুহূর্তে নেননি। তবে প্রয়োজনে দল চাইলে ইস্তফা দিতে তৈরি বলেই এদিন মন্তব্য করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
এই মুহূর্তে আসানসোলের পুরো প্রশাসক পদে ছাড়াও জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছিলেন আসানসোলের জেলা সভাপতি এবং পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক। প্রশাসক পদ ছাড়লেও আপাতভাবে জেলা সভাপতি এবং পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না বলেই এদিন জানিয়ে দেন তিনি ।
প্রতিদিনের পদত্যাগের কারণ হিসেবে ফিরহাদ হাকিম কে নিশানা করেছেন তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিন দিন হয়ে যাওয়ার পরেও ফিরহাদ হাকিম কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি জিতেন্দ্র তিওয়ারি দেওয়ার চিঠি প্রেক্ষিতে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে কোন দোষ নেই।
শুভেন্দু অধিকারীর দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দিনেই জিতেন্দ্রর প্রশাসক পদত্যাগ আরো জল্পনা ঘনীভূত করল।