আসল অভিযুক্তদের না ধরে টিআইপ্যারেডের নামে আনিসের বাবার সঙ্গে মশকরা !
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আনিস কাণ্ডে শোরগোল শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। আনিস কাণ্ডে শোরগোল শুরু হতেই আমজনতার চোখে ধুলো দিতে লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকার! শুক্রবারের পর এই দুটোই চরম সত্যি। কারণ পুলিশ ইতিমধ্যেই আমতা থানার এক হোমগার্ড ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ঘটনায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে।
আদালত তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশও দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার আনিসের বাবা সালেম খান ‘টি আই প্যারেডে’ অংশও নেন। কিন্তু সেখানে যে সেই রাতে তাঁর বাড়িতে আসা পুলিশকর্মীদের কেউ ছিল না, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই বৃদ্ধ মানুষটি!
সালেম খানের এই বক্তব্য জানাজানি হতেই শোরগোল শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি আমজনতার ক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই নিচুতলার পুলিশকর্মীকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে? এরই মধ্যে একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিয়েছেন আনিসের বাবা।
সেই রাতে আনিসকে ছাদে নিয়ে যাওয়ার সময় সালেম খান সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের দিকে এক পুলিশকর্মী রিভলবার তাক করে ছিলেন। সেই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী গেলেন কোথায়? প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রশ্ন করেছেন পুত্রহারা বৃদ্ধ মানুষটি। উত্তর নেই। নাকি উত্তর দেওয়া হবে না বলে ঠিক করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র?
“আপনার ছেলে ইনসাফ পেয়েছে?” রিজওয়ানুরের মাকে তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন আনিসের বাবার
মৃত ছেলের ন্যায় বিচার চাইতে গিয়ে বৃদ্ধ সালেম খানের সঙ্গে যে মশকরা শুরু হয়েছে তা দেখে সত্যিই বিচলিত হতে হয়। উঁচুতলার লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও প্রশাসন কি তবে সাজিয়ে-গুছিয়ে মামুলি কয়েকজনকে অভিযুক্ত বানানোর চেষ্টা করছে! তবে কি আসল অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? তারা কি অতি প্রভাবশালী?
নাকি তারা ধরা পড়লে বিপদ আরও ওপর তলায় চলে যাবে, তাতে ধরা পড়বেন একের পর এক রাঘববোয়াল? এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে ইতিমধ্যেই আমতার তৃণমূল বিধায়ক এবং হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপারের বিরুদ্ধে সরাসরি আনিস ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে!
শুক্রবারের ঘটনার পর সম্ভবত সিবিআই তদন্তের দাবি আরও প্রবল আকার ধারণ করবে। কারণ মৃত আনিসের পরিবারের মনে তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র আস্থা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য প্রশাসন।