শোষণের রাজনীতি থেকে বঙ্গবাসীকে মুক্তি দিতে ২১-র পরিবর্তনের ডাক নাড্ডার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে মঙ্গলবার পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। চলতি মাসেই এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বঙ্গ সফরে এলেন তিনি। অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে হেলিকপ্টারে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি। বেনারসি শাড়ি দিয়ে তারাপীঠে মায়ের পুজো দেন। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

পুজো দিয়ে বীরভূম চিলার মাঠে জনসভায় হাজির হন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সরাসরি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এ রাজ্যের শাসক দলের প্রতি। বলেন, তৃণমূলের আমলে বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাংলায় আজ বহিরাগত তত্ত্ব এনে অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে।

একইসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারে জনসভা করতে এসে রোষের মুখে পড়েছিলেন জেপি নাড্ডা। হামলা করা হয় তাঁর কনভয়ে। বিজেপি নেতাদের গাড়ি লক্ষ্য করে চলে ইট বৃষ্টি। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি।

বলেন, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নামের সঙ্গে বেশ কিছু বিশেষণ জুড়ে দিয়েছিলেন। যা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে চলে না।

পশ্চিমবঙ্গে প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এবং নরেন্দ্র মোদী কী কী চিন্তা-ভাবনা করছেন সে বিষয়ে খানিক মত প্রকাশ করেন তিনি।

তাঁর কথায় বাংলার মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার কুড়ি লক্ষ মানুষের ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প তিনি সূচনা করেছেন। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৬৭৫ কিলোমিটার হাইওয়ের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছেন। দুটি ফ্রেট করিডোর করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছেন। বাংলার চা বাগানের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে বলেও এদিন জানান তিনি।

পাথর সরিয়ে চলছে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ

এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন বর্তমানে বাংলায় শোষণের রাজনীতি চলছে। চলছে তোলাবাজি এবং কাটমানির রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রীর একাধিক প্রকল্প নকল করে মুখ্যমন্ত্রী নিজের নামে চালানোর চেষ্টা করছেন। এই গুন্ডারাজ তোলাবাজির হাত থেকে মানুষ মুক্তি চাইছে তাই একুশের নির্বাচনে তৃণমূলকে সমূলে উপড়ে ফেলে বাংলায় বদল আনবে বিজেপি।

এদিন বীরভূমে রথযাত্রার সূচনা করে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন জেপি নাড্ডা। ঝাড়গ্রামে আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। সিধু কানুর মূর্তিতে মাল্যদান করার কথা রয়েছে তাঁর।

আজ রাতেই খড়্গপুরে থাকছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এখান থেকে সোজা কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার সেখানেই উত্তরবঙ্গের পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

সম্পর্কিত পোস্ট