রাম বিলাসের চিঠিকে ভিত্তি করে রাজ্যকে খোঁচা বাবুলের, পাল্টা জবাব জ্যোতিপ্রিয়র

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ চালুর জন্য চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী রাম বিলাস পাশওয়ান। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

এই চিঠিতে বলা হয়েছে বাংলায় রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা হলেও এখনো বায়োমেট্রিক শুরু হয়নি। ফলে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়িত করা যাচ্ছে না। আর তাই চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অনুরোধ, দ্রুত বায়োমেট্রিক চালু করা হোক।

রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের আবহে বায়োমেট্রিক চালুর ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। কারণ বায়োমেট্রিক চালু করতে গেলে বাড়তে পারে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের সংখ্যা।

উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে ২০২০ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে গোটা দেশে,’ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড’প্রকল্প চালু করা হবে। এর ফলে দেশের যে কোনও প্রান্তে থাকা মানুষ তার কাছে থাকা রেশন কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য পাবেন। এতে তাদের বাড়তি কোন হয়রানি হতে হবে না।

কেন্দ্র এই প্রকল্প দ্রুত চালু করতে চাইলেও সমস্যা হল বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক হলেও চালু হয়নি বায়োমেট্রিক। আর সে কারণেই ধাক্কা খাচ্ছে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প।

আর সে কারণেই গত ২৩ শে মে রামবিলাস পাসোয়ান যে চিঠি লিখেছেন তাতে তিনি লিখেছেন, রাজ্যের ৯৬ শতাংশ রেশন দোকানে ই-পস মেশিন রয়েছে। ৭৩ শতাংশ গ্রাহকের আধার কার্ড এর সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক হয়েছে। কিন্তু এই আধার নম্বর সঠিক কিনা তা জানার জন্য বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।

সোমবার থেকে রাজপথে নামছে না বাস ও মিনিবাস

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে ইতিমধ্যে ১৭ টি রাজ্যে এক দেশ এক রেশন কার্ড চালু হয়েছে। পহেলা আগস্ট থেকে আরো তিন রাজ্যে চালু হবে। ২০২১ -এর ৩১ মার্চের মধ্যে আরো তিনটি রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন,এই প্রকল্পের প্রচারের জন্য আপনার সহযোগিতা চাই যাতে সমস্ত উপভোক্তার এর সুবিধা পেতে পারেন।

রাম বিলাস পাসোয়ানের এই চিঠিটা নিয়ে সরকারকে একহাত নিয়েছেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তার কথায়, আধার কার্ড লিঙ্ক করা নিয়ে কেন বাংলার এত অনিচ্ছা তা আমরা জানিনা। হয়তো এতে রেশন চুরি করার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা হয়।

তিনি বলেন এই প্রকল্প চালু হলে শুধু রাজ্যের মানুষ এই সুবিধা পাবেন এমন নয়, রাজ্যের বাসিন্দা বা পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যের বাইরে রয়েছেন তারাও এর থেকে উপকৃত হবেন। তাহলে কি এমন ধরে নিতে হবে যে রাজ্য সরকার এরা খাবার পাক চায়না।

এদিন এইসব অভিযোগের জবাব দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন,রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্কের প্রক্রিয়া আমাদের রাজ্যে চলছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য লকডাউন শুরু হওয়ায় তা মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়।

ইতিমধ্যেই সাড়ে ৫ কোটি মানুষের আধার লিঙ্ক করা হয়েছে। এখনো এই প্রক্রিয়া চালানো যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হল, কে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তা তো আমরা জানি না। কিন্তু এর ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট