শিশির অধিকারীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ জ্যোতির্ময় মাহাতোর, বিজেপি যোগের সম্ভাবনা !
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি শুরু করে দিয়েছে প্রচার। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা।
তাদের মধ্যে দলবদলের পর অনেকেই এখন অনেক রকম সুরে কথা বলছেন। সেকথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নজরে থাকা অধিকারী পরিবারকে নিয়ে।
কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ১২ জানুয়ারি অমিত শাহের বঙ্গ সফরে আরও অনেকে যোগদান করতে পারেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। তাদের মধ্যে তৃণমূলের অনেক বর্ষীয়ান নেতৃত্ব রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে।
আর সেই দাবিকে প্রাধান্য দিয়েই রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে শুভেন্দু অধিকারীর পর বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন তাঁর বাবা শিশির অধিকারী. ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারী। তবে এই গুঞ্জন কতটা সত্য সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি অধিকারী পরিবার।
বিজেপিতে যোগদানের পর মঙ্গলবার প্রথম খড়দা তে জনসভা করতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। মহামিছিলের পর জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি প্রথমে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এরপরেই তিনি জোর গলায় বলেন, তার নিজের পরিবারে পদ্ম ফোটাবেন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পরপরই কাঁথি পৌরসভার পৌর প্রশাসক পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌমেন্দু অধিকারীকে।
সূত্রের তরফে জানা গেছে, তাদের সন্দেহ এবং সম্ভাবনার মিশেল থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন তমলুকের সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার থেকে তিনিও পৌরসভায় যাবেন না। তবে তাদের অভিভাবক ও দলের বর্ষীয়ান সংসদ শিশির অধিকারী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
রাজনৈতিক এই টানাপোড়েনের মাঝেই বুধবার সকালে শান্তিকুঞ্জে শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন পুরুলিয়ার বিজেপি সংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো। যদিও এই সাক্ষাৎ সম্পূর্ণ সৌজন্যমূলক বলেই দাবি করেছেন জ্যোতির্ময় মাহাতো। কোন মন্তব্য করেননি শিশির অধিকারী অধিকারী সহ পরিবারের কেউই।
আরও পড়ুনঃ করোনার নতুন স্ট্রেন এবার কলকাতায়, আক্রান্ত ব্রিটেন ফেরত যুবক
এখান থেকেই তৈরি হয়েছে নতুন করে জল্পনা। তাহলে কি ১২ জানুয়ারি অমিত শাহের বঙ্গ সফরে অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যরাও বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন ?
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে অনেক নেতাকর্মীরাই অধিকারী পরিবারকে নিশানা করে একের পর এক মন্তব্য করে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও পরিবারতন্ত্রের তীব্র বিরোধিতা শোনা গিয়েছে।
সেখান থেকেই চরম অস্বস্তিতে রয়েছে অধিকারী পরিবার সহ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অন্দরে অনেকে আবার কিছু বুঝে ওঠার আগেই অধিকারী পরিবারকে বিশ্বাসঘাতকের তকমা দিয়ে দিয়েছেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যে জ্যোতির্ময় মাহাতোর সৌজন্য সাক্ষাৎ বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার মতো কখনোই নয়। হতে পারে ছেলের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে খুব শীঘ্রই বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ময়দানে অবতীর্ণ হল অধিকারী পরিবার !