সেই পরিবারতন্ত্র! হেঁশেল থেকে বেরিয়ে এই রাজ্যের হাল ধরতে পারেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ভাঙন ও মহাবিকাশ আগড়ির জোট সরকারের পতনের পর দেশের পূর্বাংশের এই রাজ্যের সরকার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সবচেয়ে খনিজ সম্পদ বহুল ঝাড়খণ্ডে এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস ও আরজেডির জোট সরকার ক্ষমতায় আছে। তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জেএমএম এর সঙ্গে কংগ্রেসের বনিবনা হচ্ছে না বলে খবর।
যথারীতি এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কংগ্রেসকে সরিয়ে হেমন্ত সোরেনের দলকে সমর্থন দিয়ে ঝাড়খণ্ডকে এনডিএ শাসনাধীন করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু এরই মাঝে সম্পূর্ণ আইনগত কারণে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হতে পারে হেমন্ত সোরেনকে। ফলে তাঁর বদলে কে সরকারের হাল ধরবে তাই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
লাভজনক পদ বিতর্কে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আদালতে মামলা দায়ের হয়। এই নিয়ে যাবতীয় শুনানি শেষ হয়েছে। এবার শুধু রায় বেরানোর অপেক্ষা। সূত্রের খবর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একাংশের আশঙ্কা, রায় তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দল ও সরকারের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে বাড়ির অন্দরমহল থেকে বের করে এনে স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে পারেন হেমন্ত।
প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি দেবব্রত বসু
ঝাড়খণ্ড যখন বিহারের অংশ ছিল, সেই সময় পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের প্রথম সাজা ঘোষণা হলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে কোনদিনও প্রকাশ্যে না আসা স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছিলেন যদু কুলপতি।
সেই বিহার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাজ্যে পরিণত হওয়া ঝাড়খণ্ডেও এবার একই ছবি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ সোরেনরা ঝাড়খণ্ডে পরিবারতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য কল্পনা সোরেন অবশ্য রাবড়ি দেবীর মতো পুরোপুরি অন্দরমহলের মানুষ নয়। সক্রিয় রাজনীতিতে সেভাবে না থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী যথেষ্ট শিক্ষিত। ঝাড়খণ্ডের পরিচিত সমাজকর্মী ও মহিলা আন্দোলনকারী হিসেবে সুনাম আছে কল্পনা সোরেনের।