ইয়েচুরি, কানহাইয়ার মতো সুবক্তা জরুরি রাজ্যসভায়, দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের

||দিলীপ রায়||

সামনেই রাজ্যসভা নির্বাচন হবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি আসনও রয়েছে। চারটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের নিশ্চিত জয় থাকলেও একটি আসন কংগ্রেস ও সিপিএম একজোট হয়ে অনায়াসেই দখল করতে পারে। আর সেই আসনে বাম প্রার্থীই চাইছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

তাঁদের মতে, দেশের এই গভীর সঙ্কটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইয়েচুরি, কানহাইয়ার মতো সুবক্তাকে প্রয়োজন রাজ্যসভায়। বিজেপির আগ্রাসি রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গেলে সংসদের উচ্চকক্ষে শিক্ষিত সুবক্তাকে জরুরি বলেই মনে করেন তাঁরা।

সেক্ষেত্রে প্রবীণ নেতা, সিপিএমের সাধারণ  সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেই প্রথম পছন্দ রাজনৈতিক মহলের একাংশের।বিগত রাজ্যসভা নির্বাচনে দলীয় সংবিধানকে হাতিয়ার করে ইয়েচুরির সংসদে প্রবেশে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলেন সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেডের কয়েকজন নেতা।

আরও পড়ুনঃনরেন্দ্র মোদি ভারতবর্ষের নাগরিক, জানাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনুসিংভি এরাজ্য থেকে রাজ্যসভায় যান। সেসময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি চাইলেও বঙ্গ সিপিএমের দূরদর্শিতার অভাবে এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় বামেদের প্রতিনিধি যেতে পারেনি।

এবার ফের সুযোগ এসেছে। কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধিতাকে শক্তিশালী করতে রাজ্যসভায় সুবক্তা বাম নেতার প্রয়োজনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। আর রাজ্যে বাম-কংগ্রেস এখন অনেকে কাছাকাছিও রয়েছে।

অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের আগ্রাসি রাজনীতির বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধে টক্কর দেওয়ার মতো বাম নেতার প্রয়োজনও দেখা দিয়েছে।সেক্ষেত্রে জাতীয় রাজনীতিতে বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সীতারাম ইয়েচুরির।

কংগ্রেস হাইকমান্ড আগেও যেমন বাংলা থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিল, তেমনই এখন তাঁর ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি করবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।পাশাপাশি জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী আওয়াজকে জোরদার করতে ইয়েচুরিকে সমর্থন করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

আরও পড়ুনঃEXCLUSIVE: গোটা দেশজুড়ে যা চলছে তা একেবারে কাম্য নয়ঃ ইউসুফ তারিগামি

এমনই মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, ইয়েচুরিকে রাজ্যসভার প্রার্থী করার ক্ষেত্রে সিপিএমের দলীয় সংবিধানের কোনও বাধ্যবাধকতা বা বাংলার সিপিএম নেতাদের আপত্তি থাকলে বাম প্রার্থী হিসাবে জনপ্রিয় তরুণ নেতা কানহাইয়া কুমারকেও প্রার্থী করতে পারে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।

কিন্তু সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড তাঁদের সীমাবদ্ধতা থেকে বের হতে পারবে কিনা, তানিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ওই মহল। 

সম্পর্কিত পোস্ট