ফের দলের বিরুদ্ধে সরব বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত অগাস্ট মাসের কথা। দলীয় নেতৃত্বের পরিবর্তন চেয়ে হাইকম্যান্ডকে চিঠি লেখেন কংগ্রেসের ২৩ জন নেতা। বিতর্কিত চিঠি নিয়ে আলোচনার পর কয়েকমাস কংগ্রেসের লড়াকু মনোভাব কর্মীদের উজ্জীবিত করেছিল। কিন্তু বিহার নির্বাচনে কংগ্রেসের ফলাফল ঘোষণার পর তা নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। ফের নেতৃত্ব নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে সরব হলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। দলের মধ্যে বিকল্প কাউকে দেখতে চায় মানুষ। দাবী কংগ্রেস নেতার।

তিনি বলেন, কংগ্রেসের মধ্যে যে সমস্যা রয়েছে তার সমাধান সূত্র কংগ্রেসের জানা কিন্তু সমাধান খুঁজে বের করার জন্য যে পথ অবলম্বন করা দরকার তা নিচ্ছে না। আমাদের মধ্যে এমন কিছুজন আছেন যারা কাগজ কলম বের করে বলেছিলেন কংগ্রেসের কি করা দরকার। আমাদের কথা শোনার পরিবর্তে তাঁরা আমাদের দিকেই নিশানা করলেন। তার ফলাফল এখন হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে। শুধুমাত্র বিহার নয়, সারা দেশে বিকল্প হিসাবে মানুষ কংগ্রেসকে বেছে নিচ্ছে না, তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সাংগঠনিক দিক থেকে আমরা কোথায় ভুল, কোথায় ঠিক তা আমরা জানি। আমাদের কাছে উত্তরও রয়েছে। কিন্তু সেই উত্তর গুলো খুঁজে বের করার জন্য কংগ্রেসকে অবশ্যই সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে। এমনকি সিডব্লসি গঠনের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার।

গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে সিবাল বলেন, কংগ্রেসের দলীয় নেতৃত্বকে বুঝতে হবে দলের খারাপ দিন আসতে চলেছে। আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম মানুষ সেভাবে আমাদের ওপর আস্থা রাখেনি। এখন কংগ্রেসের সব কিছ ভেবে দেখার সময় এসে গেছে।

বিহারের নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের আরও শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেসের প্রচারে রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকলেও সেভাবে সক্রিয়তা দেখাননি তিনি। বিহারের মঞ্চে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ব্যবহার করা প্রয়োজন ছিল কংগ্রেসের। প্রয়োজন ছিল আরও বেশী করে রাজ্য নেতৃত্বকে ব্যবহার করা। যা না করার দলের ৭০ টি আসনে লড়ে মাত্র ১৯ টি আসন পেতে হয়েছে কংগ্রেসকে।

বিহার প্রসঙ্গে একই সুর কপিল সিবালের কথাতেও। নির্বাচনের পাশাপাশি সাংগঠনিক স্তরে এখনও অনেক কাজ করতে হবে। বেশ কিছু সক্রিয় নেতাকে ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে তিনি। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে তা করা হচ্ছে না। বর্ষীয়ান নেতার অভিযোগ, আমি কখনও হাইকম্যান্ডকে কিছু বলতে শুনিনা। বরং হাইকম্যান্ডের আশেপাশে যারা থেকেন তাঁদেরকে বলতে শোনা যায়। বিহার এবং সারা দেশের উপনির্বাচনের পর তাঁরা হয়তো ভাবছেন সবকিছু ঠিকঠাক চলছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য কংগ্রেসকে পুনরায় শক্তিশালী দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। সারা ভারতের সংবিধান ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা যারা করছে তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত কংগ্রেস নেতাদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট