মালদায় হবিবপুরে সাড়ম্বরে পালিত হল করম উৎসব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মালদার হবিবপুর ব্লকের আইহো অঞ্চলের বড় আকাল পুর এলাকায় প্রতিবারের মতো এবছরও একাদশীতে করম উৎসব ও ঝুমুর নাচের আয়োজন করল হবিবপুর ও বামনগোলার বেদিয়া সমাজের যৌথ উদ্যোগে পিঁপড়া টোলা সামাজিক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।

এই সমাজের লোকেরা প্রকৃতির পূজারি তাই এই করম পূজা উপলক্ষে পুরনো রীতি মেনে কারাম গাছের ডাল ও পাঁচ ধরনের শস্য -এর বিছনের ডালী পূজার মধ্য দিয়ে পূজা অর্চনা শুরু করেন।প্রথমে কারাম গাছের কয়েকটি ডাল কেটে নিয়ে আসেন ও পাঁচ ধরনের শস্য বিছনের ডালিতে নিজের কৃষ্টি-কালচার মেনে পূজা অর্চনা করেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উপস্থিত ঝুমুর নাচের শিল্পীরা প্রথা মেন হাড়িয়া খেয়ে ঝুমুর নাচে অংশগ্রহণ করে। ঝুমুর নাচের মধ্য দিয়ে নিজেদের কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরেন।যা চলে শনিবার পর্যন্ত। এই ঝুমুর নাচে হবিবপুর -বামনগোলা ব্লক সহ মালদা জেলা তথা আশেপাশের জেলা থেকেও বেদিয়া সমাজের শিল্পীরা

ঝুমুর নাচে অংশগ্রহণ করেন।ওই এলাকায় আকলপুর পুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল ময়দানে শেষে শনিবার বেলা কারাম গাছের ডাল ও ৫ ধরনের শস্য বিছনের ডালি পাশের পুকুরে নিরঞ্জন করেন ।

১০০ দিনের কাজে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ, কাঠগড়ায় TMC-র পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান

পিঁপড়া টোলা বেদিয়া সামাজিক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক নিরঞ্জন মাহাতো জানিয়েছেন এই কারাম পূজা পূর্বপুরুষের পুরনো রীতি মেনে পূজা অর্চনা করে আসছেন। যাতে বেদিয়া সমাজ লুপ্ত না হয়।কর্মময় জীবনের ব্যস্ততা কাটিয়ে ভাদ্র মাসের প্রথম পূর্ণিমার চাঁদ দেখার ১১ দিনের মাথায় এই পূজা-অর্চনা করা হয়।

এই পূজার মধ্য দিয়ে তাদের রীতিনীতি সংস্কৃতি জিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। তারা প্রকৃতির পূজারী তাই কারাম গাছে দুটি ডাল কেটে করম পূজা ও উৎসব করে থাকেন। এই বেদিয়া সমাজের করম পূজা কর্মা ও ধরমার নামে পূজা অর্চনা হয়ে থাকে সেহেতু বেদিয়া সমাজের নতুন প্রজন্মরা জীবনে যাতে ধর্ম-কর্ম এই বিষয়টি সমান ভাবে প্রচলিত হয়ে থাকে সেই জন্যই করম পূজা করা হয়ে থকে।

উপস্থিত ছিলেন হবিবপুর বিধানসভার বিধায়ক জুয়েল মুর্মু ও পিঁপড়াটোলা বেদিয়া সামাজিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি সুশান্ত মাহাতো, সম্পাদক নিরঞ্জন মাহাতো পিঁপড়া টোলা বেদিয়া সামাজিক কল্যাণ সমিতি অন্যান্য সদস্য সহ বেদিয়া সমাজের বিশিষ্টরা।

সম্পর্কিত পোস্ট