কারগিল শহিদ স্মরণঃ এবার দেশাত্মবোধক কবিতা পাঠ করলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  কারগিল বিজয় দিবসে শহিদ স্মরণে কবিতা পাঠ করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

দক্ষ হাতে সামলাচ্ছেন দফতর। ছুটে যাচ্ছেন জেলায় জেলায় দলীয় কর্মসূচীতে। গর্জে উঠছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। করোনা-আমফান দূরে ঠেলে অসহায় মানুষের সাহার্য্যার্থে বাড়িয়ে দিচ্ছেন হাত।  আবার সেই রাজীবই নিজে হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন অবলা জীবদের।

বারবার বিভিন্ন ভূমিকায় সমস্যা সমাধানের মসীহা হিসাবে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ দুঁদে রাজনৈতিক নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

শহিদ তর্পণে তিনি উল্লেখ করেছেন, “যারা সীমান্তে জাগে নিশিদিন/হাসিমুখে দেয় প্রাণ/ তারাতো সকলে তোমার আমার ঘরেরই সন্তান/শত্রুর সাথে ওরা নির্ভীক প্রাণে/পাঞ্জা কষে কারগিলে-গালওয়ানে”।

বিশিষ্ট কবি হিরোদ মল্লিকের লেখা এই কবিতার লাইনগুলিকে গানের আকারে বেঁধে এদিন পাঠ করেছেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

এর আগেও লাদাখের ঘটনায় শহিদ সেনাদের উদ্দেশ্যে গান গেয়েছিলেন তিনি। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মঞ্চ হোক বা মুখ্যমন্ত্রীর সভা। একাধিকবার গলা ছেড়ে গান গাইতে শোনা গিয়েছে মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে।

তবে সেটা নিতান্তই অন্য ধরণের গান। এবার সেনাদের উদ্দেশ্যে তিনি গাইছেন দেশাত্মবোধক গান। পাঠ করছেন দেশাত্মবোধক কবিতা। সুজয় গোস্বামীর লেখা ও সুর করা ছিল আগের গানটি।

‘সোজা বাংলায় বলছি’ ভার্চুয়াল মিডিয়ায় উন্নয়নের বাংলাকে তুলে ধরার নতুন হাতিয়ার তৃণমূলের

দক্ষিণ কলকাতার এক স্টুডিওতে এটি বানানো হয়েছিল।  রাজীববাবু জানিয়েছেন, “দেশের সীমানা যারা রক্ষা করেন তাদের জন্যেই আমরা রাতে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাতে পারি। সেনাদের এই আত্মবলিদান আমাদের মনে রাখতে হবে। সেকারণেই আমার এই গান ও কবিতা।”

রাজীব বাবু জানিয়েছেন, “সেনা বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আমার এই গান ও কবিতা। সীমান্ত রক্ষা করার কাজ যাদের তাদের ভালো থাকার জন্যে আমাদেরও এগিয়ে আসা উচিত। তাই এই গান ও কবিতা আমাদের।”

তবে তিনি মনে করেন নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। তাহলে সেনাদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা আরও বাড়বে।

তবে শুধু শ্রদ্ধা জানিয়ে গান গাওয়া বা কবিতা পাঠ নয়, প্রয়োজনে তিনি সীমান্তে গিয়ে সেনাদের অনুপ্রানিত করতে গান গাইবেন ও কবিতা পাঠ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট